কাঁঠালকান্ডে মার্ডারের ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না —ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুলাই ২০২৩, ৪:৩৭:৪৮ অপরাহ্ন
শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, বিপিএম (বার) পিপিএম বলেছেন, সামান্য কাঁঠাল নিলাম নিয়ে হত্যাকান্ড অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং লজ্জাজনক ঘটনা। এই ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ঘটনার সাথে জড়িত কেউ দেশত্যাগ করতে পারবে না। যারা ঘটনায় কলকাঠি নাড়িয়েছে এদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিআইজি বলেন, সমাজে কিছু লোক আছে সবসময় বিশৃঙ্খলা লাগিয়ে রাখতে চায়। এরা বিভিন্ন দাঙ্গার হোতা হিসেবে কাজ করে। এদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি সমাজের ঘুষখোর সুদখোরদের তালিকাও হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা এলাকার শান্তি নষ্ট করতে চায়, এদের প্রতিহত করতে হবে। অযথা কাউকে হয়রানি করা পুলিশের কাজ নয়। যারা মূলহোতা তাদের খুঁজে বের করে অতিদ্রুত গ্রেফতার করতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ক্ষমতার সাথে অর্থ উপার্জন জড়িত থাকায় ক্ষমতাবানরা গ্রামের সহজ সরল মানুষকে ব্যবহার করে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে ফায়দা লুটে। আমাদের সমাজে যারা মাদকের সাথে জড়িত তারা ওসি, এসপি ও রাজনৈতিক নেতার ছত্র ছায়ায় কেউ না কেউয়ের শেল্টারে এ কাজ করে থাকে। এদের প্রতিহত করতে হবে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহের সভাপতিত্বে সার্কেল এএসপি শুভাশীষ ধরের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার উজ জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর সিতু, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদ চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, শিমুলবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহিন, পূর্ব বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম, পূর্ব পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া, পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দারসহ এলাকার সাধারণ মানুষ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুলাই জুমার নামাজের পর মসজিদে দান করা একটি কাঁঠাল নিলামকে কেন্দ্র করে হাসনাবাদ গ্রামের দ্বীন ইসলাম ও মালদার আলীর পক্ষের লোকদের মধ্যে প্রথমে কথাকাটাকাটি হয়। এর জেরে ১০ জুলাই সকালে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।