কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি শাহপরানের দত্তগ্রামে অসহায় পরিবারের উপর হামলা॥ সীমানা প্রাচীর ভেঙে দখলের চেষ্টা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জুলাই ২০২৩, ৪:৩৮:৪৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: এসএমপি’র শাহপরান থানার খিদিরপুর দত্তগ্রামে বায়না সূত্রে মালিক দাবি করে এক অসহায় পরিবারের ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ওই পক্ষ হামলা চালিয়ে বাসার সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলেছে। এসময় বাসার প্রধান গেইটে তালা দিয়ে সন্ত্রাসীরা তান্ডব চালিয়েছে। এ ঘটনায় কলেজ পড়–য়া এক ছাত্রী ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে হোসনে আরা বেগমের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ভুক্তভোগী হোসনে আরা বেগম গতকাল রাতে দৈনিক সিলেটের ডাক এর কার্যালয়ে এসে তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা ও সীমানা প্রাচীর ভাঙচুরের ও তার মেয়ে আহত হওয়ার ভিডিও দেখান। তিনি জানান, তার স্বামী লায়েক মিয়ার মৃত্যুর পর সন্তানাদিকে নিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন। টাকার প্রয়োজন হলে নিজে বাড়ির সীমানা প্রাচীরের অভ্যন্তরেই টিনসেড বাসাসহ ভূমি বিক্রির উদ্যোগ নেন। একপর্যায়ে জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল গডুল গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী স্বপ্না বেগম নামের জনৈক মহিলা ভূমি কিনতে আগ্রহী হন।
তখন সর্বসাকুল্যে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দাম নির্ধারণ করে ১০ লাখ টাকা অগ্রীম প্রদান করে চলতি বছরের ২২ ফ্রেবুয়ারি বায়না সম্পাদন করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, ওই ভূমি নামজারি সম্পন্ন হলে বাকি টাকা প্রদান পূর্বক দলিল সম্পাদন হবে। কিন্তু, বিগত মাঠ জরিপের চূড়ান্ত পর্চা তফসিল অফিসে না পৌঁছা সংক্রান্ত জটিলতায় নামজারি করতে বিলম্ব হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে স্বপ্না বেগম জোরপূর্বক ওই জমির দখল নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রুবেলসহ বিপুল সংখ্যক বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলেন। বাসার লোকজন বাসা থেকে বের হয়ে না আসতে পারেন-এজন্য বাসার গেইটে বাইরে থেকে তালা দিয়ে রাখা হয়। শোর চিৎকার শুরু হলে সন্ত্রাসীরা ঘরের ভেতরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে হামলায় কলেজ পড়–য়া মেয়ে আহত হন। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালের ৪ তলা ৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে সহায়তা চাইলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ভুক্তভোগী হোসনে আরা বেগম আরো বলেন, এসআই আলমগীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে থানায় এজাহার দেয়ার জন্য বলেছেন। তবে তার মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে থাকায় রাতে এজাহার দিতে পারেনি। তিনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে শাহপরান থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, ৯৯৯ এ ফোন দিলে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে এ ঘটনার জন্য গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত কেউ এজাহার দেয়নি। এজাহার পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।