বিভিন্নস্থানে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ: নিহত ১
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জুলাই ২০২৩, ৪:১৯:৪৯ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : সারাদেশে বিএনপির পদযাত্রা ও এর পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনেক জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে উভয়েই সভা-সমাবেশ পালন করলেও কিছু জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রাজধানীর মিরপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজের গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতাকর্মীরা পদযাত্রার উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়ার সময় তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। সে সময় বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী কলেজ গেটের সামনে একটি মোটরসাইকেল ও একটি বাইসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলতে থাকে।
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে কৃষক দলের মো. সজীব নামের এক কর্মী এবং আরও এক কর্মী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। সংঘর্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানাসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ফেনীতে বিএনপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বিকেলে শহরের টাংক রোডে সংঘর্ষ হয়। এসময় বিএনপির অন্তত ১২জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
পিরোজপুরে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশের ৭ সদস্য এবং সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন হাসান আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আনোয়ার হোসেন এ ঘটনায় বিএনপির অন্তত ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
বেলা পৌনে ১১টায় পিরোজপুর-হুলারহাট সড়কে ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘পদযাত্রা নিয়ে ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে পৌঁছানোর পর পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। সেখানেই আমরা পথসভা শুরু করার পর একপর্যায়ে পুলিশ আমাদের কাছ থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং আমাদের উপর হামলা করে।’
বগুড়ায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস এবং শটগানের গুলি ছুঁড়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে বিএনপির হামলায় তাদের ৭ জন সদস্য আহত হয়েছে। অপরদিকে বিএনপি দাবি করেছে, পুলিশের গুলি এবং হামলায় তাদের ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক, নেতাকর্মীসহ শতাধিক আহত হয়েছে। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নেতাকর্মীরা খ- খ- মিছিল নিয়ে শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠে জড়ো হন।
মিছিলটি শহরের নুর মসজিদের কাছে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে নেতাকর্মীরা ব্যরিকেড ভেঙে সামনে আগানোর চেষ্টা করার সময় সংঘর্ষের সূচনা হয়। এ সময় পুলিশ মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। অপর দিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছোঁড়ে।
খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলতে থাকে।