মেডিকেল-বুয়েট-ঢাবিতে চান্সপ্রাপ্তদের সম্মানে সংবর্ধনা
নতুন পৃথিবীর চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য তৈরি হতে হবে ———অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল আনাম মো. রিয়াজ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুলাই ২০২৩, ৪:১১:০৮ অপরাহ্ন
এমসি কলেজ প্রতিনিধি : সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল আনাম মো. রিয়াজ বলেছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে সফল হয়ে আজ অনেকে মেডিকেল, বুয়েট, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছেন। একদিন তারাই রাজনীতি, ব্যবসা, প্রশাসন, চিকিৎসা, প্রকৗশলসহ বিভিন্ন পেশায় নেতৃত্ব দেবেন। তবে তার আগে আমাদেরকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। তখনই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য অর্জিত হবে। তিনি বলেন, আপনারাই আগামীর বাংলাদেশ। নতুন পৃথিবীর চ্যালেঞ্জ নিতে সেভাবেই তৈরি হতে হবে।
গতকাল বুধবার এমসি কলেজের একাডেমিক ভবনের ১০২ নং কক্ষে এমসি কলেজের ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল, বুয়েট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত এমসি কলেজের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃতী শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়। এসময় দেশের বিভিন্ন মেডিকেল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটে চান্সপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল আনাম মো. রিয়াজ শিক্ষার্থীদের অর্জিতত সাফল্য ধরে রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, আমরা যা চাই, অনেকসময় তা না পেতেও পারি। এজন্য ভেঙে পড়লে হবে না। কাজ চালিয়ে যেতে হবে। একদিন অবশ্যই কাজের মূল্যায়ন হবে।’
বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এমসি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সাইফুদ্দীন আহম্মদ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলাউদ্দিন খান, গণিত বিভাগের অধ্যাপক তপতী চৌধুরী প্রমুখ। কৃতী শিক্ষার্থী মৌনতা নাথ মিশির সঞ্চালনায় কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জোহরা আহমেদ দ্বোহা, অপূর্ব দাশ প্রান্ত, প্রতীক প্রণতীর্থ, হৃদিতা পাল। একাদশ শ্রেণির রাইয়ানের কোরআন তিলাওয়াত ও অর্পিতা দেবের গীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
উল্লেখ্য, এবছর এমসি কলেজ থেকে মেডিকেলে ৫৫ জন, বুয়েটে ১৮জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪ জন ও দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থীরা চান্স পেয়েছেন।