হিরো আলমের ওপর হামলায় ১৩ দূতাবাসের নিন্দা ‘জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছি’
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুলাই ২০২৩, ২:৫৩:১৪ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ঢাকার ১৩টি দূতাবাস ও হাইকমিশন।
গতকাল বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
একই সঙ্গে এ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার দাবি জানায় দূতাবাসগুলো।
যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলমের (যিনি হিরো আলম নামে অধিক পরিচিত) ওপর হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনও স্থান নেই। আমরা পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার দাবি জানাই। আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সেজন্য আমরা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। যেসব দূতাবাস ও হাইকমিশন ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে সেগুলো হচ্ছে- কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশন।
উল্লেখ্য, সোমবার ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছি : হিরো আলম
নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঢাকা-১৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।
ঢাকা-১৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম জানান, আপনারা জানেন আমি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। আমি কিন্তু আমার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছি। আজ আমার বাড়িতে ৪টি মোটরসাইকেলে করে ৮ থেকে ১০ জন ছেলে গিয়ে ‘হিরো আলম বের হ’ বলে চিৎকার করছিল। তারা আমার গেইটে ভাঙচুর করেছে। তারা কারা আমি জানি না।
গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর আশকোনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ শঙ্কার কথা জানান।
জীবনের নিরাপত্তাহীনতার জন্য পুলিশ প্রশাসন দায়ী বলে মন্তব্য করে হিরো আলম বলেন, যেদিন আমার ওপর হামলা করা হয়, সেদিন যদি পুলিশ আমাকে গাড়িতে তুলে দিত, তাহলে হামলার হাত থেকে আমি রক্ষা পেতাম। নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে দাবি করে হিরো আলম বলেন, বস্তি এলাকার ৮-১০ বছরের শিশুদের দিয়ে ভোট দেওয়ানো হয়েছে।