তাহিরপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি, তোপের মুখে ওসি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুলাই ২০২৩, ২:৫৭:১১ অপরাহ্ন
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তোপের মুখে পড়েন তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। গতকাল বুধবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলার যাদুকাটা ও মাহারাম নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে তোপের মুখে পড়েন তিনি।
সভায় মাহারাম ও যাদুকাটা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের বিষয়ে কথা উঠলে উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন সিন্ডিকেটের সাথে তাহিরপুর থানার ওসি সরাসরি জড়িত বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর প্রমুখ।
সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন খান বলেন, রাতের আঁধারে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকালে থানার দারোগারা ব্যাগ হাতে নিয়ে টাকা তুলেন। বালি উত্তোলন সিন্ডিকেটের সাথে যদি থানা পুলিশের একাত্মতা না থাকতো তাহলে এ কাজ কখনোই সম্ভব হতো না।
সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর বলেন, যাদুকাটা নদীর পূর্বের ইজারাদাররা সনাতন পদ্ধতিতে বারকি শ্রমিক দিয়ে বালি উত্তোলন করতেন। কিন্তু এখন ড্রেজার বসিয়ে জনগণের জমি ও নদীর পার কেটে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। যা তাহিরপুরের মানুষের আগামী দিনে দুঃখ-দুর্দশার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন ও বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসাইন বর্তমান ওসিকে অযোগ্য দাবি করে বলেন, যাদুকাটা নদীতে দিনে ও রাতে প্রকাশ্যে নদীর পার কেটে বালি উত্তোলন চলছে। যা আমরা অন্য কোনো ওসির আমলে দেখিনি। এতে প্রমাণ হয় যে বালি উত্তোলন সিন্ডিকেটে ওসি জড়িত রয়েছেন।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, আমাকে জড়িয়ে সভায় যে-সব বক্তব্য উত্থাপন হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও আপত্তিকর। আমার থানা পুলিশের সদস্যরা ব্যাগ নিয়ে রাতের আঁধারে টাকা উত্তোলন করে এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না।