চ্যানেল আই সেরা কন্ঠে এগিয়ে
সিলেটের মেয়ে তৃষা প্রয়োজন এসএমএস
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জুলাই ২০২৩, ১০:২৭:০২ অপরাহ্ন
আহমাদ সেলিম
রিয়ালিটি শো চ্যানেল আই সেরা কন্ঠ ২০২৩-এ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের মেয়ে তৃষা দাশ। কলেজ পড়–য়া তৃষার সামনে অপেক্ষা করছে ‘সুপার রাউন্ড’। প্রতিভাবান সেই মেয়েটিকে প্রতিযোগিতার সুপার রাউন্ডে নিয়ে যেতে প্রয়োজন সবার সহযোগিতা। সবার ভালোবাসা পেলে মেয়েটি হয়তো সেরাকন্ঠ হয়ে উজ্জ্বল করবে সিলেটের মুখ। এ জন্য প্রয়োজন এসএমএস। যে কোনো মোবাইল থেকে ইচ্ছেমতো যতখুশি এসএমএস করা যাবে। তবে সেটি করতে হবে ২৩ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। এসএমএস করতে হলে- আপনার মোবাইল অপশনে গিয়ে প্রথমে ঙঈঝক ঞজওঝঐঅ লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ২৬৯৬৯ নম্বরে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে এমএমএস করার সময় শুরু হয়েছে। আগামীকাল ২৩ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই এসএমএস করা যাবে। তৃষার ভাগ্যে যত বেশী এসএমএস পড়বে, ততবেশী সাফল্যের দরজা খুলবে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা পঞ্চাশে চ্যানেল আইয়ে তৃষার কন্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তখন বিচারক ছিলেন বরেণ্য রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী ও আসিফ ইকবাল। গানটি শোনার পর তাঁরা তৃষার বিপুল প্রশংসা করেন। একই সাথে বিচারকমন্ডলী তৃষাকে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার নির্দেশনা দেন।
আর মাত্র একদিন পর ২৩ জুলাই শুরু হবে পরবর্তী সুপার রাউন্ড। তৃষার মতো আরো অনেকে সেই রাউন্ডে যাবার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে তুলছেন। নবীগঞ্জে জন্মস্থান হলেও তৃষা দীর্ঘদিন ধরে সিলেট শহরের কাজলশাহে বসবাস করছে। সেই মেয়েটি অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এ পর্যন্ত এসেছে। আগামীতেও সে যাতে জাতীয় পর্যায়ে সিলেটের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার এই চেষ্টার সাথে বাড়িয়ে দিতে হবে আমাদের সহযোগিতার হাত। আমাদের একটি এসএমএস তার এগিয়ে যাওয়ার পেছনে হতে পারে অনেক বড় শক্তি এবং অনুপ্রেরণা। তার কোমলমনে উদ্দীপনা জাগাবে আমাদের একটু সহযোগিতা।
তৃষার বাবা প্রভাংশু দাশ একজন সামান্য ব্যবসায়ী এবং মা বেলা রাণী দাশ গৃহিনী। সে বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়ার সাথে চলছে সঙ্গীত চর্চা। ছোটবেলা থেকে তৃষা গান করছে। শিশু একাডেমি থেকে শুরু হলেও বর্তমানে সে সিলেট জেলা শিল্পকলা এডমেডিতে গান শিখছে। এই বয়সেও সে নিজে গান লিখে, সেই গানের সুরও দিচ্ছে নিজে। বিষয়টি বেশ প্রশংসা পায় বিচারকদের টেবিলেও।