এমসি কলেজে নির্মিত হচ্ছে রাজা গিরিশ চন্দ্র রায়ের ম্যুরাল
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুলাই ২০২৩, ৪:৩০:০৫ অপরাহ্ন
এমসি কলেজ প্রতিনিধি : সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের প্রধান ফটকের সামনে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা রাজা গিরিশ চন্দ্র রায় এর ম্যুরাল স্থাপন কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় এমসি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অর্থায়নে এই নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল আনাম মো: রিয়াজ।
এসময় কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সাইফুদ্দীন আহম্মদ, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, কর্মচারীবৃন্দ, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের সুধীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে কলেজের শিক্ষাবিদ সম্মেলনকক্ষে এইচএসসি ‘৯১ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আব্দুল আহাদের সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বে এইচএসসি ‘৯১ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও কলেজের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রবীর রায় তার বক্তব্যে নির্মাণ কাজের আদ্যোপান্ত তুলে ধরে বর্তমান ও প্রাক্তন মুরারিয়ানদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
ম্যুরাল স্থাপন বিষয়ক কমিটির আহবায়ক দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোঃ আজাদ আতিকুর রহমান উদ্বোধনে উপস্থিত থাকার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কলেজের অধ্যক্ষ আবুল আনাম মোঃ রিয়াজ এর আহবানে ম্যুরাল নির্মাণ কাজের অগ্রপথিক, সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ প্রয়াত মিশফাক আহমেদ মিশুর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৩২ বছরের পুরনো ও সিলেট তথা আসামের প্রথম এবং বাংলাদেশের ৭ম ঐতিহ্যবাহী কলেজ মুরারিচাঁদ সরকারি কলেজ ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি এমসি কলেজ নামে দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে পরিচিত এবং এই কলেজের অগণিত শিক্ষার্থী বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে অবদান রাখছেন। কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন সিলেট রায়নগরের রাজা গিরিশ চন্দ্র রায় (১৮৪৫-১৯০৮)। তিনি সিলেটের প্রথম রায়বাহাদুর ও একমাত্র রাজা খেতাবপ্রাপ্ত ব্যক্তি। শিক্ষাবিস্তারে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ১৮৯৫ সালে তাঁকে রায়বাহাদুর এবং ১৮৯৯ সালে রাজা উপাধিতে ভূষিত করেন। রাজা গিরিশ চন্দ্র রায়ের অবদানকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয় এ স্থাপনা কাজের অনুমতি দেয়। এই ম্যুরাল স্থাপনার কাজটি সম্পূর্ণভাবে কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিজস্ব অর্থায়নে এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও কলেজের যৌথ তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হবে।