জাউয়ায় বড়শির সুতা কেনা নিয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ ॥ আহত ৭৮
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুলাই ২০২৩, ৫:২৫:৩৫ অপরাহ্ন
মোহাম্মদ রাজ উদ্দিন, জাউয়া (ছাতক) থেকে : ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজারের দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের চেচান ও বাউর গ্রামবাসীর মধ্যে বড়শির সুতা কেনা নিয়ে সংঘর্ষে ৭৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ২৩ জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ছাতক থানা পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গতকাল শনিবার রাত ৮ টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতরা হলেন, কিরণ মিয়া (৫০), ফয়সল (২৪), শফিকুল (৩৮), তাওহীদ (১৫), জাকির (২২), তারেক (১৮), শাওন (২২), আব্দুল হাই (৫০), আশরাফ (২৯), শাকিব (১৭), সোহেল (৩০), হোসাইন (১৫), জুনেদ (৩১), রাকিবুল (২২), কলিম (২৮), সুলেমান (২৩), হাসান (৩৬), রাসেল (৩০), সায়েম (১৫), সাইফুল (১৫), বাবুল (২২), সামাদ (২০) ও আহাদ (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় চেচান বাজারে বাউর গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে রাকিবুলের দোকানে দুপুর ১২টার দিকে বড়শির সুতা কিনতে যান চেচান গ্রামের আমিরুল ইসলামের ভাগ্নে তাওহীদ (১৫)। দোকানদার রাকিবুল মোবাইলে গেইম খেলায় ব্যস্ত থাকায় বড়শির সুতা এলোমেলোভাবে তাওহীদের হাতে দেয়। এ সময় তাওহীদ সুতা একটি কাটিতে প্যাঁচিয়ে দিতে বলেন। দোকানদার রাকিবুল তার কোন কিছুতে প্যাঁচিয়ে নিতে বলেন তাকে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজনদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে রাত ৮টার দিকে উভয় গ্রামের মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষেউভয় পক্ষের প্রায় ৭৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ২৩ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ছাতক থানা পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম) রাজন বর্ধ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাশীষ ধর, ছাতক থানার ওসি খান মোহাম্মদ জাকির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ছাতক থানার ওসি খান মোহাম্মদ জাকির জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে বলে জানান ওসি।