সাক্ষরতায় সুখবর
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুলাই ২০২৩, ১২:৩২:৩৪ অপরাহ্ন
যে নিজের উপর আস্থা রাখতে পারে না, সে কখনো প্রকৃতপক্ষে অন্য কারও ওপর আস্থা রাখতে পারে ন। -কাদিনল দ্য য়েটজ
বাড়ছে সাক্ষরতার হার। গত ১৩ বছরে বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিসংখ্যান অধিদপ্তর এই তথ্য দিয়েছে। তাদের মতে, দেশে এখন ১১-৪৫ বছর বয়সিদের মধ্যে প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০১১ সালে এ হার ছিল ৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। গত ১৩ বছরে এই হার বেড়েছে ১৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
সাক্ষর মানে অক্ষরজ্ঞান।অর্থাৎ যার অক্ষরজ্ঞান আছে তিনিই সাক্ষর। আর ইউনেস্কোর সংজ্ঞা অনুযায়ি সাক্ষরতা হলো- পড়া, অনুধাবন করা, মৌখিকভাবে এবং লেখার বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যাখ্যা করা, যোগাযোগ স্থাপন করা এবং গণনা করার দক্ষতা। অর্থাৎ সাক্ষরতা বলতে লিখতে, পড়তে, গণনা করতে ও যোগাযোগ স্থাপন করার সক্ষমতাকে বোঝায়। এর সঙ্গে নতুন যুক্ত হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করতে জানা। ইতোপূর্বে ২০০৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের মধ্যে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করার ঘোষণা দেয়। ২০১০ সালে জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করা হয় এবং উল্লিখিত সময়ের মধ্যে শতভাগ সাক্ষরতা নিশ্চিতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্ত সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয় নি। তবে আশার কথা হচ্ছে , সাক্ষরতা অর্জনের হার বাড়ছে। স্মরণ করা যেতে পারে, দেশে ১৯৭১ সালে সাক্ষরতার হার ছিল ১৬ দশমিক ৮ ভাগ। ১৯৯১ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫ দশমিক ৩ এবং ২০০১ সালে ৪৭ দশমিক ৯। ২০০৮ সালে ৪৮ দশমিক ৮ ভাগ এবং ২০০৯ সালের হিসাবে ৫৩ ভাগ। আর বর্তমানে এই হার প্রায় ৭৩ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ১০ শতাংশে। নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ৭৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। এইসব পরিসংখ্যানের মারপ্যাঁচে প্রকৃত সাক্ষর মানুষের সংখ্যা নিরূপণ দূরূহ। আর উল্লিখিত প্রায়োগিক সাক্ষর ব্যক্তিরা কার্যক্ষেত্র কতোটুকু প্রায়োগিক সেটাও দেখবার বিষয়। সাক্ষরতা নিয়ে সরকারের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। কিন্তু কাজে রয়েছে ধীরগতি। এ কাজে নিয়োজিত এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। এরপরও কাজ যতটুকু এগোনোর কথা মহামারি করোনা সেখানেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। গত দু’তিন বছর অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছিল এ কার্যক্রম।
স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকেই দেশে শুরু হয় সাক্ষরতা আন্দোলন। পরবর্তীতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও এতে অংশ নেয়। সময়ের পরিক্রমায় এখন বেড়েছে সাক্ষরতার হার, শিক্ষিতের হার। তবে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে দেশের মানুষকে শতভাগ সাক্ষর হতে হবে। আর সেটা হতে হবে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে সাক্ষরতা। সর্বোপরি, শতভাগ প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত হলে কোন শিশু নিরক্ষর হয়ে বেড়ে উঠবে