সুনামগঞ্জে খুনোখুনির ঘটনা বেড়েছে সাতমাসে ২৩ খুন ॥ সবচাইতে বেশি অশান্ত শান্তিগঞ্জ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুলাই ২০২৩, ৯:০৮:১৮ অপরাহ্ন
কাউসার চৌধুরী
একটি কাঁঠালের নিলাম ডাক থেকে বচসা। এরপর তুলকালাম কা-। দুইপক্ষের তুমুল সংঘর্ষে মারা যান চারজন। বচসা-বিবাদ থেকে চারটি হত্যার ঘটনা হতবাক করেছে সকলকে। সম্প্রতি সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে বচসা-বিবাদ থেকে এ রকম খুনোখুনির ঘটনা ঘটে। এর মাত্র এক সপ্তাহ আগে শাল্লায় জমিজমা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক ইউপি সদস্য খুন হন। ওই খুন থেকে বাঁচতে নিজেদের লোককে খুন করে হত্যাকান্ডের ঘটনা সাজানো হয়। এভাবে ছাতক, দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ, তাহিরপুরসহ অন্যান্য উপজেলায় বচসা-বিবাদ গড়াচ্ছে খুনোখুনিতে। চলতি বছরের সাতমাসে সুনামগঞ্জে ২৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শান্তিগঞ্জ উপজেলায়ই সর্বোচ্চ ৫টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। একের পর এক ঘটনা ঘটছে প্রকাশ্যে দিনদুপুরে। অপরাধ কর্মকা-ে বেড়েছে ধারালো অস্ত্র, রামদা, টেঁটা, সুলফি, ঝাঁটা, একাইট্টা, ডেগারসহ দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার। জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এসব খুনোখুনির ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর সামাজিকভাবে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।
জানতে চাইলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম সিলেটের ডাককে বলেন, নানা কারণে সমাজে আগের তুলনায় অপরাধ বেড়েছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে শিক্ষা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাবতো আছেই; মূল হচ্ছে সামাজিক শিক্ষার অভাব। যেমন আগের দিনে কোনো বিরোধ হলে সামাজিকভাবে মীমাংসা বা সোস্যাল সেটেলমেন্ট হয়েছে। এখন সেটা কমে গেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতাও অন্যতম কারণ। না হয় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এতো বড় ঘটনা কিভাবে ঘটে। ধর্মীয় শিক্ষারও অভাব আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মসজিদে কাঁঠাল নিলামকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা অবাক করার মতো।
সুনামগঞ্জের পিপি এডভোকেট ড. খায়রুল কবির রুমেন বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতার জোরে অনেক অপরাধী পার পেয়ে যায়। অপরাধের শাস্তি হয় না। ফলে অপরাধী আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চললেই অপরাধ কমে আসবে। এজন্যে আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি আরও বাড়াতে হবে।
সাত মাসে ২৩ খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, প্রতিটি ঘটনাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে উত্তেজিত হয়ে এসব হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে দায়েরকৃত মামলাগুলো গুরুত্ব সহকারে তদন্ত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের আইনশৃঙ্খলার ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
# শান্তিগঞ্জে স্কুল ছাত্রীর বস্তাবন্দি লাশ……
শান্তিগঞ্জে ফোর মার্ডারের ক্ষত শুকানোর আগেই আবারও সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এক স্কুল ছাত্রী খুন হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ও দিরাই উপজেলার শরীফপুর গ্রামের মধ্যবর্তী স্থান থেকে সাজনা বেগম নামের ওই স্কুল ছাত্রীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাজনা বেগম শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের মড়ল বাড়ির ইসরাইল মিয়ার কন্যা।
# পুরনো বিরোধ কাঁঠালে চাঙা-পরে ৪ খুন……
জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামের মসজিদের কাঁঠাল নিলামকে কেন্দ্র করে ১০ জুলাই সোমবার সকালে দু’পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন খুন হন। নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র নুরুল হক (৪৫), আব্দুস সুফির পুত্র বাবুল মিয়া (৫০), আব্দুল বাসিরের পুত্র শাহজাহান মিয়া (৫৫) এবং আজির মোহাম্মদের পুত্র মুখলেছুর রহমান (৬০)। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই দু’জন, হাসপাতালে আরেক জন ও পরবর্তীতে হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়। গ্রামের সরাই মোড়ল ও মালদার গোষ্ঠীর লোকদের দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে ঘটে এসব হত্যাকান্ডের ঘটনা। আগের দিন রোববার বিকেলে মসজিদে কাঁঠাল নিলামকে কেন্দ্র করে বিরোধ নতুন করে চাঙা হয়ে ওঠে। এর পরদিন ঘটে স্মরণকালের ভয়াবহ সংঘর্ষ। ওই সংঘর্ষে ২০ জন আহত হন। যাদের অনেকে আজও চিকিৎসাধীন আছেন।
# এক খুন থেকে বাঁচতে আরেক খুন……
শাল্লা উপজেলার সাতপাড়া বাজারে একটি দোকান কোঠা নির্মাণকে কেন্দ্র করে ২৭ জুন সকালে দু’পক্ষের সংঘর্ষে হাবিবুর রহমান (৪৫) নামের এক সাবেক ইউপি সদস্য খুন হন। পুলিশসহ ২০ জনেরও অধিক লোক আহত হন। হাবিব খুন থেকে বাঁচতে প্রতিপক্ষের লোকজন হেলাল মিয়া নামের আরও একজনকে খুন করে। সাতপাড়া বাজারের একটি ভিটা নিয়ে পার্শ্ববর্তী কার্তিকপুরের মুজিবুর রহমান ও ইউসুফ মিয়ার লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
# মারামারি থামাতে গিয়ে খুন হলেন ফারুক……
সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগরে ৬ এপ্রিল দুপুরে দুই আটো রিক্সাচালকের মারামারি থামাতে গিয়ে খুন হন ফারুক আহমদ (২৬) নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজবাড়ির ওয়ারিশ আলীর পুত্র। ব্যবসায়ী ফারুক আহমদ নবীনগর পয়েন্টের ব্যবসায়ী ছিলেন। মারামারি থামানো কাল হয়ে ওঠে ফারুকের।
# সৎ ভাইয়ের হাতে খুন……
ছাতকের দোলারবাজার ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা গ্রামে ৩১ মে দুপুরে সৎ ছোট ভাই জুনেদ আহমদের হাতে বড় ভাই জাহির মিয়া (৩৫) খুন হন। এর আগে ২৩মে রাতে নিজ বাড়িতে আসাব আলীর দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে জুনেদ আহমদ পারিবারিক কলহের জের ধরে জাহির মিয়াকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর ওসমানী হাসপাতালে ৩১ মে তিনি মারা যান।
# জামাই খুন করলো শ্বশুরকে……
ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের ধারণ বাজার এলাকার একটি বাসায় ১৫ এপ্রিল রাতে জামাই সেলিম উদ্দিন তার আপন শ্বশুর মকবুল আলীকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। শ্বশুর ও জামাইর পরিবার ওই বাসায় একত্রে বসবাস করতেন। ওই দিন রাতে দুই পরিবার একত্রে বসে আলোচনার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেলিম শ্বশুর মকবুল আলীকে কুপিয়ে খুন করে।
# রাতের আঁধারে লায়েককে ছুরিকাঘাত……
ছাতক উপজেলার গণেশপুর খেয়াঘাটে ২৮ মার্চ রাতে লায়েক মিয়া নামের সাবেক জনপ্রিয় এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে উপুর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ওসমানী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত লায়েক মিয়া পৌর শহরের ম-লীভোগ (জংলীগড়) এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র। তিনি ছাতক পৌর নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডে একাধিকবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
# চাচাতো ভাইরা খুন করে জেসমিনকে……
জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের মল্লিকপুরে ২৭ মে শনিবার সকালে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইয়ের দায়ের কোপে জেসমিন বেগম (৩৫) নামের এক নারী খুন হন। তিনি ওই গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইয়েরা জেসমিনকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে।
# বড় ভাই খুন করে ছোট ভাইকে……
জেসমিন হত্যাকান্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই
জামালগঞ্জের উত্তর ইউনিয়নের উত্তর কামলাবাজ (ধানুয়াখালি) গ্রামে ২৯ মে সোমবার রাতে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বড় ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতের ছোট ভাই নুরু মিয়া (৪৭) খুন হন। নিহত নুরু মিয়া ওই গ্রামের মৃত সুলতু মিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র।
# মামার হাতে ভাগ্নে খুন……
জগন্নাথপুরের আশারকান্দি ইউনিয়নের কাঁঠালখাইর গ্রামে ৪ জুন রোববার দুপুরে মামা আজিদ আলীর হাতে আপন ভাগ্নে মুক্তার মিয়া (১৫) খুন হন। নিহত মুক্তার মিয়া সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার লামা ইসবপুর গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে। ধান বিক্রি নিয়ে মামা-ভাগ্নের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে মামা তার ভাগ্নেকে খুন করে ফেলেন।
# সৈয়দপুরে গুলাগুলিতে জামাল খুন……
জগন্নাথপুরের সৈয়দপুরে ২৮ এপ্রিল শুক্রবার রাতে দু’পক্ষের তীব্র গোলাগুলিতে সৈয়দ জামাল মিয়া (৪৫) নামের এক অটো রিক্সাচালক খুন হন। সৈয়দপুর (ঈশানকোণা) গ্রামের সৈয়দ আলমগীর মিয়ার সাথে সৈয়দ হোসাইন আহমেদের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ওই দিন রাতে দু’পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শুরু হয় গোলাগুলি। এতে সৈয়দ জামাল মিয়াসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ জামাল মিয়া মারা যান।
# মসজিদে জুতা বদল নিয়ে……
দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়ের মাইজখলা জামে মসজিদে প্রতিদিনের ন্যায় ২১ এপ্রিল শনিবার গ্রামের মুসল্লিগণ নামাজ পড়তে যান। মসজিদ থেকে বের হবার সময় এক মুসল্লির জুতা পাওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে মুসল্লিদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে আবুল কাশেম (২৫) নামের এক মুসল্লি খুন হন। নিহত আবুল কাশেম মাইজখলা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
# মাদকের লেনদেন নিয়ে বন্ধুর হাতে খুন……
দোয়ারাবাজার উপজেলার কাটাখালী বাজারে ২৪ এপ্রিল রাতে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে সোহেল মিয়ার হাতে তার বন্ধু তাজুল আলী (৪০) খুন হন। নিহত তাজুল আলী উপজেলার আহমদনগর গ্রামের মৃত আগন আলীর পুত্র। দুই বন্ধু মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন। মাদক কারবারের লেনদেন নিয়েই মূলত তাদের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হয়। এরপর এক বন্ধুর হাতে অপর বন্ধু খুন হন।
# তিন ভাই মিলে খুন করলো নুরুলকে……
তাহিরপুরের শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে ১৯ জানুয়ারি আপন তিন ভাই মিলে সহোদর নুরুল আমিনকে (৬০) মারধর করেন।
এলোপাতাড়ি মারধরের এক পর্যায়ে নুরুল আমিন মারা যান। নিহত নুরুল আমিন ও ঘাতক তিনজন শ্রীপুর গ্রামের মৃত তাহের আলীর পুত্র।
জমিজমার বিরোধের জের ধরে তিন ভাই মিলে তাদের আপন ভাই নুরুল আমিনকে খুন করে ফেলে।
# ছোট ভাইয়ের পাথরের আঘাতে বড় ভাই খুন……
তাহিরপুর উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়দল গ্রামের পুরানহাটিতে ২৬ মার্চ রোববার দুপুরে ছোট ভাইয়ের পাথরের আঘাতে আপন বড় ভাই খোরশেদ আলম (৩৮) খুন হন। নিহত খোরশেদ আলম বড়দল গ্রামের পুরানহাটির সাবেক মেম্বার মৃত কনাই মিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র। টিউবওয়েল ব্যবহারে বাধার জের ধরেই এই হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়।
# রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে যুবক খুন……
তাহিরপুরের ঘাগটিয়া গ্রামের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ১৮ এপ্রিল সাকিব রহমান (২৫) নামের এক যুবককে স্থানীয় মোশাররফ বাহিনী হাত-পা ভেঙে, নখ তুলে হত্যা করে। নিহত সাকিব রহমান ঘাগটিয়া গ্রামের মুজিবুর রহমানের পুত্র।
সোমবার রাতে পরিকল্পিতভাবে ঘাগটিয়া গ্রামের রাফি, রাজ, নুরুজ আলী ও তার ছেলে কাহার মিয়া, মহিনুর, মোশাহিদের নেতৃত্বে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী সাকিবকে ধরে আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে সন্ত্রাসীরা সাকিবকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে ও নক উপড়ে তুলে নৃশংসভাবে হত্যা করে। খবর পেয়ে নিহতের হতভাগ্য পিতা পুত্রকে উদ্ধার করতে গেলে তার উপরও মোশাররফ বাহিনী হামলা করে।
# ডোবায় শিশুর লাশ……
দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কাইতলা বাঁধসংলগ্ন ডোবা থেকে ১০ এপ্রিল সোমবার আলী উসমান হামজা নামের আট বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত হামজা নতুন জগদল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের কনিষ্ঠ পুত্র। শিশু হামজা হত্যাকান্ডের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মুজাহিদ ইসলাম নামের এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়।
# দা দিয়ে কুপিয়ে ভাইকে খুন……
ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে সুরুজ আলী তার আপন ভাই মো. কবির মিয়াকে (৬৫) বটি দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে খুন করে। নিহত কবির মিয়া জামালপুর গ্রামের আতাব উদ্দিনের পুত্র।