ভারতীয় তরুণী ভালবাসার টানে বাংলাদেশে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুলাই ২০২৩, ৫:৩৭:২০ অপরাহ্ন
বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : ভারতীয় তরুণী ভালবাসার টানে বাংলাদেশে প্রেমিকের বাড়ি এসেছেন। ছেলে বাংলাদেশী আর মেয়ে ভারতের। সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের চরগাঁও গ্রামে ভারতীয় তরুণী কারিশমা শেখ (১৯) পৌঁছান। ভারতীয় কারিশমা শেখ আসাম প্রদেশের শনিয়তপুর বালিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা কাচিম শেখ এর মেয়ে।
জানা গেছে, বিগত তিন বছর পূর্বে ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয় ও সম্পর্ক গড়ে উঠে তাদের। ভৌগোলিক সীমানা কাঁটাতারের বেড়া তাদের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘ তিন বছর পর ভারতীয় তরুণী কারিশমা শেখ বৈধভাবে পাসপোর্ট ভিসা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাই বাংলাদেশে প্রেমিকের বাড়িতে উপস্থিত হন।
সূত্রটি জানায়, গত ১৬ জুলাই বেনাপোল সীমান্ত হয়ে বৈধ পন্থায় সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চরগাঁও গ্রামে প্রেমিক আলফাজ উদ্দিনের পুত্র আশরাফুল আলমের বাড়িতে ভারতীয় তরুণী উপস্থিত হন।
এ নিয়ে এলাকায় হৈচৈ পড়ে। আশরাফুলের বাড়িতে তরুণীকে এক নজর দেখার জন্য লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। প্রতিদিন স্থানীয় লোকজনসহ বিভিন্ন সংবাদকর্মী তাদের সাক্ষাৎ নিতে ভিড় জমান।
প্রেমিক আশরাফুল আলম বিশ্বম্ভরপুর সরকারি দিগেন্দ্র বর্মন ডিগ্রী কলেজের ¯œাতক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। ১৯ জুলাই সুনামগঞ্জ নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ইসলামী বিধান মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তারা।
প্রেমিকা কারিশমা জানান, আমার প্রেমিক আশরাফুলকে আমি মনে প্রাণে ভালবাসি এবং তার উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ভালবাসার টানে ভারত থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেনাপোল বর্ডারে আসলে সেখান থেকে সে আমাকে সাদরে গ্রহণ করে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। ইসলামী বিধান মোতাবেক স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছে সে। বর্তমানে আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছি। আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানাই, যেন আমাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।
বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল আলম জানান, ধনপুর ইউনিয়নের চরগাঁও গ্রামে আশরাফুল আলমের বাড়িতে ভারত থেকে প্রেমের টানে কারিশমা নামে একজন মহিলা তিন মাসের ভিসা নিয়ে এসেছেন এবং কাবিন রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।