বিশ্ব হেড-নেক ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন
সচেতনতার মাধ্যমে হেড-নেক ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব ———-ডা. নূরুল হুদা নাঈম
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ জুলাই ২০২৩, ৫:২১:০৭ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক: সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নূরুল হুদা নাঈম বলেছেন, “বিশ্বে মহামারীর মত রূপ নিচ্ছে হেড-নেক ক্যান্সার। রোগটির লক্ষণ দেরিতে প্রকাশ হওয়ার কারণে এটি নিরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে। তাই হেড-নেক ক্যান্সার প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা উত্তম। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। সচেতনতার মাধ্যমে ৫০ শতাংশ ক্যান্সার প্রতিরোধযাগ্য।
শনিবার বেলা ২টায় সিলেট নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে বিশ্ব হেড-নেক ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি। ডা. নূরুল হুদা নাঈম বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে মানব মৃত্যুর প্রথম কারণ হৃদরোগ। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ক্যান্সার। ক্যান্সারের মধ্যে ২০০ প্রকার রয়েছে। এরমধ্যে হেড-নেক ক্যান্সারের অবস্থান আগে ছিল সপ্তম। বর্তমানে এটি চতুর্থ স্থানে রয়েছে। তাই এ বিষয়টি চিকিৎসকদের ভাবিয়ে তুলছে। সকলকে সচেতন না হলে তা মহামারী আকারে রূপ নেবে।
ডা. নাঈম বলেন, এ রোগের লক্ষণ দেরিতে ধরা পড়ে। যার কারণে মানুষ বুঝতে পারে না ক্যান্সার আক্রান্ত কী না। যখন বুঝতে পারে তখন অনেকের পক্ষে আর কিছুই করার থাকে না।
তাই প্রাথমিকভাবে কোনো উপসর্গ যেমন মুখে বা জিহ্বায় ক্ষত, গলার বাইরে টিউমার বা গোটা, নাক-মুখ-কান দিয়ে রক্ত পড়া, স্বর ভঙ্গ হওয়া, খাবার গিলতে অসুবিধা হওয়া এরকম কোনো লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে খুব বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রায় দুইশ’ ধরণের ক্যান্সারের মধ্যে স্তন, ফুসফুস, জরায়ু ও কলোরেক্টাল ক্যান্সার বেশি। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ফুসফুসে ক্যান্সার আক্রান্তদের। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে-কলোরেক্টাল ক্যান্সার। আর হেড-নেক ক্যান্সারের অবস্থান চতুর্থ। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৩-১৫ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় প্রায় ২ লাখ মানুষের। তবে আশার বিষয় হলো হেড-নেক ক্যান্সার হাইলি-কিউরেবল অর্থাৎ চিকিৎসায় ভালো হয়। গড়ে প্রায় ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ ক্যান্সার প্রতিরোধযোগ্য। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে একটি বড় অংশকে ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব বলে মনে করেন এ চিকিৎসক। সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা প্রদান করেন-এনজেএল গর্বিত মা-বাবা সম্মাননার সদস্য সচিব এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, এনজেএল ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এডভোকেট রেজাউল করীম তালুকদার, অ্যানেসথেসিয়া কনসালটেন্ট ডা. এইচ আহমদ রুবেল, ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. জহিরুল ইসলাম, ইএনটি বিশেষজ্ঞ টি এইচ আহমেদ ইমরান, ডেন্টাল সার্জন ডা. আমিনুল ইসলামসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলন উপস্থাপনা করেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের ন্যাশনাল মাস্টার ট্রেইনার ও বিশিষ্ট সমাজসেবিকা মোছা: তামান্না আক্তার তমন।