সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির জনসমাবেশ
ফ্যাসিস্ট সরকারের দিন ফুরিয়ে আসছে, বিদায় সময়ের ব্যাপার —-খন্দকার মুক্তাদির
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০১ আগস্ট ২০২৩, ১১:১৮:০৬ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দিন ফুরিয়ে আসছে। বিদায় সময়ের ব্যাপার মাত্র। সরকার গুনে গুনে আর ৩০ দিনও ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। শেষ সময়ে এসে গদি হারানোর ভয়ে সরকার আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে। গণতন্ত্রকামী মানুষকে হামলা মামলা ও নির্যাতন চালিয়ে দমিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না।”
গতকাল সোমবার বিকেলে নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ও আবুল কাহের চৌধুরী শামীম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক ও মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী।
জনসমাবেশে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জনসমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়। সকাল থেকেই জেলা ও মহানগরে ১৩ উপজেলা ও ৫টি পৌর এবং মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ড থেকে খ- খ- মিছিল নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা জনসমাবেশে জড়ো হন। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীও এই জনসমাবেশে যোগ দেন।
জনসমাবেশে জেলা ও মহানগর বিএনপি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন, হাজী শাহাব উদ্দিন আহমদ, একেএম তারেক কালাম, আশিক উদ্দিন চৌধুরী, ইকবাল বাহার চৌধুরী, শহিদ আহমদ চেয়ারম্যান, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মিফতা সিদ্দিকী, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, নজমুল হোসেন পুতুল, শাহাব উদ্দিন আহমদ, গোলাম রব্বানী, ইকবাল আহমদ, সামিয়া বেগম চৌধুরী, নজিবুর রহমান নজিব, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, ডাঃ নাজমুল হোসেন, মাহবুব কাদির শাহী, মোঃ আমির হোসেন, কামরুল হাসান সাহীন, নিজাম উদ্দিন তরফদার, জিল্লুর রহমান সুয়েব, এডভোকেট কামাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, তাজরুল ইসলাম তাজুল, মামুনুর রশিদ মামুন, আনোয়ার হোসেন মানিক, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, এডভোকেট আবু তাহের, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, কোহিনুর আহমদ, আবুল কাশেম, এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, শাকিল মোর্শেদ, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, ব্যারিস্টার রিয়াসদ আজিম হক আদনান, মুকুল আহমদ মোর্শেদ, হুমায়ুন আহমদ মাশুক, শামীম মজুমদার, শাহ নেওয়াজ বক্ত তারেক, এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, মুশিকুর রহমান মুহি, আখতার রশিদ চৌধুরী,
আফজাল উদ্দিন, ডাঃ আশরাফ আলী, লল্লিক চৌধুরী, মুফতি নেহাল, রেজাউল করিম নাচন, লোকমান আহমদ, তাজ মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন, এডভোকেট বদরুল ইসলাম চৌধুরী, তাসনিম শারমিন তামান্না, নিগার সুলতানা ডেইজি, আব্দুল হাফিজ, মকসুদ আহমদ, এডভোকেট মোস্তাক আহমদ, আল মামুন খান, জয়নাল আহমদ রানু, শরিফুল হক, আলী আকবর, আলাউদ্দিন রিপন, আজিজুর রহমান, মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, সাদিকুর রহমান সাদিক, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, নাদির খান, আব্দুল হাকিম, আব্দুর রহিম মল্লিক, খায়রুল ইসলাম খায়ের, সুয়াইব আহমদ শোয়েব, আহমদ মঞ্জুরুল হাসান মঞ্জু, সায়েদুল হক সুহেল, হাবিবুর রহমান, জালাল খান, আব্দুল মালেক, মাহবুব আলম, এডভোকেট আহমেদ রেজা, তারেক আহমদ খান, মোঃ লুৎফুর রহমান মোহন, সবুর আহমদ, শেখ কবির আহমদ, মোঃ বাচ্চু মিয়া, মিজান আহমদ, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, শাহীন আলম জয়, ডাঃ নাজিম উদ্দিন, আসাদ উদ্দিন, এডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমী, কুমকুম ফাহিমা, আলাউদ্দিন আলাই, নাজিম উদ্দিন পান্না, মির্জা সম্রাট, আফসর খাঁন, সুদিপ জ্যোতি এষ, দেলোয়ার হোসেন দিনার, আব্দুল আহাদ, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, রাসেল আহমদ রানা, শামসুর রহমান সুজা, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, আব্দুল্লাহ মিছবাহ, আক্তার হোসেন রাজু, মাহবুব আলম, সারোয়ার হোসেন, হাসান মঈন উদ্দিন আহমদ, তামিম ইয়াহিয়া, শামসুর রহমান শামীম, বাহরুল ইসলাম বাহার, জসিম উদ্দিন, নুরুল আমিন দুলু, রেজাউল করিম রায়হান, রফিকুল ইসলাম রফিক, ফয়েজ উদ্দিন মোরাদ, আব্দুল আজিজ লাকি, মামুন ইবনে রাজ্জাক রাসেল, আলমগীর হোসেন, এ এস এম সায়েম, আব্দুস সবুর রাসেল, আব্দুল মালিক সেকু, মিনহাজ পাঠান, সৈয়দ রহিম আলী রাসু, রুবেল বকস, নজরুল ইসলাম, রাজিব কুমার দে, সাব্বির আহমদ সুচিত্র চৌধুরী বাবলু, আবু সাঈদ মোঃ তায়েফ, সুলেমান হোসেন সুমন, বেলাল উদ্দিন, কামাল আহমদ, জমজম বাদশা, এডভোকেট নজরুল ইসলাম, আব্দুল করিম জোনাক, কবির আহমদ, আফতাব উদ্দিন, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, আশরাফুল আলম বাহার, সুহেল ইবনে রাজা ও জহিরুল ইসলাম তানিম প্রমুখ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “এই সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না, বিশ্ববাসীর কাছে তা আজ প্রমাণিত। সরকার পুলিশ বাহিনী এবং তাদের দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর উপর নির্ভর করে ক্ষমতায় ঠিকে থাকার দুঃস্বপ্ন দেখছে। বাংলাদেশে ভোটারবিহীন প্রহসনের আর কোন নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না।”
সভাপতির বক্তব্যে নাসিম হোসাইন বলেন, “আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। শেষ সময়ে এসে সরকার জনতার আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে হামলা মামলার ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছে। এতে গণতন্ত্রকামী জনতাকে দমিয়ে রাখা যাবে না। অবিলম্বে শেখ হাসিনা সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। অন্যথায় এই সরকার পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।”