টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে আটক শিক্ষার্থীসহ ৩৪ জনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ, ৩৩ মোবাইল জব্দ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০২ আগস্ট ২০২৩, ৫:৩৮:২৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে আটক ৩১ বুয়েট শিক্ষার্থীসহ ৩৪ জনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাজন কুমার দাস জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে আটককৃতদের বিরুদ্ধে-যা করা প্রয়োজন তা-ই করা হবে। তবে, পুলিশের অন্য একটি সূত্র জানায়, তাদেরকে প্রয়োজনে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হবে।
গত সোমবার সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে আসা বুয়েটের ৩১ ছাত্রসহ ৩৪ শিক্ষার্থীকে ‘জামাত-শিবির’ সন্দেহে গ্রেফতার করে তাহিরপুর থানা পুলিশ। হাওরে বেড়াতে এসে তারা গোপন বৈঠক ও রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যক্রমে লিপ্ত হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ।
সোমবার বিকেলেই তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পুলিশ বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা করে। পুলিশের দায়ের করা মামলার জব্দ তালিকায় উল্লেখ রয়েছে, ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন কর্মকান্ডের কাগজপত্র, সংগঠনের তহবিলসংক্রান্ত প্রচারপত্র, সংগঠনের সাথী ও সদস্যদের পাঠযোগ্য সিলেবাস। আটকের পর পুলিশ তাদের কাছ থেকে ৩৩টি মোবাইল ফোন জব্ধ করে। পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার বিকেলেই তাদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক ৩২ জনকে কারাগারে এবং দুজন কিশোর হওয়ায় তাদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পুলিশের দাবি, গ্রেফতারকৃত সবাই ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মী।
তবে এ ব্যাপারে ইসলামী ছাত্রশিবির সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক সভাপতি এডভোকেট আবুল বাশার জানান, আটককৃতরা শিবিরের সাথে যুক্ত কিনা তা এখনো নিশ্চিত নই। আটককৃতরা হাওরে বেড়াতে এসেছিলেন। পুলিশ তাদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ছাত্রশিবিরের বুয়েট শাখার বায়তুল মাল সম্পাদক আফিফ আনোয়ারের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে তারা সবাই টাঙ্গুয়ার হাওরে এসেছিলেন। মূলত ঢাকা থেকে পাওয়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। হাওরে বেড়াতে এসে তারা গোপন বৈঠক ও রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যক্রমে লিপ্ত হয়েছিল বলেও জানান সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সাইদ।