জেলা ও মহানগর বিএনপি’র সমাবেশ ও মিছিল
‘জনগণ ফরমায়েশী রায় মানে না’
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ আগস্ট ২০২৩, ৮:৫২:২৫ অপরাহ্ন

সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিগত ১৪ বছরে বিচার বিভাগসহ প্রশাসনের সর্বক্ষেত্রে নগ্নভাবে দলীয়করণ করেছে। যার ফলে মানুষ আজ সুশাসন ও ন্যায় বিচারক থেকে বঞ্চিত। আদালতে আজ ন্যায় বিচার পাওয়া যায় না, বিচারের বানী নিবৃত্তে কাঁদে। সরকারের এই ভয়াবহ অপশাসনের ধারাবাহিকতায় একটি সাজানো ও ভিত্তিহীন মামলায় নিজেদের আজ্ঞাবহ আদালতকে দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর সহধর্মিনী ডাঃ জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা দেয়ার নাটক মঞ্চস্থ করেছে। সরকার জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে যাতে তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ও দেশে ফিরে আসতে না পারেন সেজন্যই এই রায় নামক প্রহসন করেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর সহধর্মিনী ডাঃ জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ‘আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা’ দেয়ার প্রতিবাদে সিলেট কোর্ট পয়েন্টে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। এর আগে নগরীর রেজিস্ট্রারী মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কোর্ট পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সিলেট জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের জনপ্রিয়তা দেখে সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে। তারা যেকোন মূল্যে জিয়া পরিবারের সদস্যদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, ফখরুল ইসলাম ফারুক, একেএম তারেক কালাম, ইকবাল বাহার চৌধুরী, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, নজমুল হোসেন পুতুল, নাজিম উদ্দিন লস্কর, শাহাব উদ্দিন আহমদ, সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, নজিবুর রহমান নজিব, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, ডাঃ নাজমুল ইসলাম, আমির হোসেন, মাহবুব কাদির শাহী, সুরমান আলী, কামরুল হাসান সাহীন, রফিকুল ইসলাম, ছালিক আহমেদ চৌধুরী, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, তাজরুল ইসলাম তাজুল, মামুনুর রশিদ মামুন, আনোয়ার হোসেন মানিক, এডভোকেট আবু তাহের, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, কোহিনুর আহমদ, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, আবুল কাশেম, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, হুমায়ুন আহমেদ মাসুক, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, শাকিল মোর্শেদ, জসিম উদ্দিন, ব্যারিস্টার রিয়াসদ আজিম হক আদনান, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, শামীম আহমদ, এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, তাজ উদ্দিন মাসুম, মতিউল বারী খুর্শেদ, আফজাল উদ্দিন, দিনার খান হাসু, রেজাউল করিম আলো, ডাঃ আশরাফ আলী, লল্লিক চৌধুরী, আব্দুর জব্বার তুতু, খসরুজ্জামান খসরু, সাদিকুর রহমান সাদিক প্রমুখ।-বিজ্ঞপ্তি