ভোলাগঞ্জ-শাহ আরেফিন-ছনবাড়ি সড়কের বেহাল দশা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ৪:২৪:৫২ অপরাহ্ন

কার্যাদেশ হলেও কাজ শুরু হয়নি ॥ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই
আবিদুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ থেকে : কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ-শাহ আরেফিন-ছনবাড়ি সড়কের বেহাল দশা। ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে ভরা সড়কটি সামান্য বৃষ্টিতেই কর্দমাক্ত হয়ে যায়। প্রায় দুই দশক ধরে চলা ভোগান্তি দূর করতে বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। মাস দেড়েক আগে সংস্কার কাজের কার্যাদেশ হয়। কিন্তু এখনো কাজ শুরু হয়নি। চলাচলের অযোগ্য ভাঙা এই সড়কে ভোগান্তির শেষ নেই মানুষের।
স্থানীয়রা জানান, ৫ দশমিক ৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সড়কটি ছনবাড়ি থেকে শাহ আরেফিন হয়ে ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে এসে মিশেছে। ২০০৩-০৪ সালে সড়কটি নির্মাণ ও পাকাকরণ হয়। এই সড়ককে কেন্দ্র করে শাহ আরেফিন পাথর খনি থেকে শুরু হয় পাথর উত্তোলন ও পরিবহন। প্রতিদিন শত শত ট্রাক-ট্রাক্টর পাথর পরিবহন ও খালাসের কাজ করত। উপজেলার একটি ব্যস্ততম সড়কে রূপ নেয় এটি। তখন হাজারো মানুষের কর্মচাঞ্চল্যে মুখর ছিল এলাকা। তবে, রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগেরও কমতি ছিল না।
নারাইনপুর গ্রামের ব্যবসায়ি আনোয়ার হোসেন আনাই বলেন, ২০০৩-০৪ এ নির্মিত হওয়ার পর এই সড়কে আর সরকারি বরাদ্দ হয়নি। পুরো রাস্তাটাই ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে থাকে। তখন অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ছনবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজিজুল হক বলেন, ছনবাড়ি, নারাইনপুর, চিকাডহর ও জালিয়ারপাড় এলাকার চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও
ছনবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কে যাতায়াত করতে হয়।
নারাইনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক গোলবদন আক্তার মোটরসাইকেল চালিয়ে বিদ্যালয়ে যান। তিনি বলেন, ‘বাহাদুরপুর গ্রামে আমার শ্বশুরালয়। এই পথে
যাতায়াতের সময় ভয়ে থাকি, কখন না জানি এক্সিডেন্ট করি।’
ব্যাটারিচালিত অটো গাড়ির চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়ই গাড়ি উল্টে যায়। গাড়ির অনেক ক্ষতি হয়।
কোম্পানীগঞ্জ এলজিইডি অফিস জানায়, ভোলাগঞ্জ-শাহ আরেফিন-ছনবাড়ি সড়ক সংস্কারে প্রায় ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই টাকায় আপাতত ২ দশমিক ১৬৭ মিটার (ভোলাগঞ্জ থেকে বাবুলনগর পর্যন্ত) সড়ক আরসিসি ঢালাই হবে। এমইএসই (জেভি) নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পান। গত ১৮ জুন কার্যাদেশ হয়। সড়কটি হলে ৮-১০টি গ্রামের লোকজন সহজেই যাতায়াত করতে পারবে। পার্শ্ববর্তী ছাতক উপজেলার সাথেও যোগাযোগে আসবে গতি।
প্রকল্পের ঠিকাদার শামিম আহমেদ বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী হজে যাওয়ায় কিছুটা সময় অতিবাহিত হয়েছে। চলতি মাসেই আমরা প্রকল্পের কাজ শুরু করব।
রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আসিফ খান বলেন, ‘প্রকল্পের কাজ শুরু করতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে আমরা তাগিদ দিয়ে যাচ্ছি। তাঁরা খুব শিগগিরই কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।’