‘মুগুর পা’ শিশুদের জন্য সুখবর
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ৫:১১:০৩ অপরাহ্ন
ওসমানী হাসপাতালে সপ্তাহের প্রতি রোববার চিকিৎসা ॥ শতাধিক শিশুর মধ্যে ‘ক্লাবফুট ব্রেস বিতরণ’
ডা: এস.এম. আসাদুজ্জামান জুয়েল : ‘মুগুর পা’ (ক্লাবফুট বা জন্মগতভাবে পা বেঁকে যাওয়া, পা-এর স্বাভাবিক আকৃতির বিকৃতি হওয়া) শিশুদের সপ্তাহে একদিন চিকিৎসা দেয়া হবে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সপ্তাহের প্রতি রোববার সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত শিশুদের দেয়া হবে এ চিকিৎসা। ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে গতকাল রোববার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক্স (হাড়জোড়া) বিভাগের আয়োজনে ‘মুগুর পা’রোগীদের বিনামূল্যে ‘ক্লাবফুট ব্রেস’ বিতরণকালে এ তথ্য জানানো হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গতকাল হাসপাতালে প্রায় শতাধিক রোগীকে বিনামূল্যে ‘ব্রেস’ বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: সৌমিত্র চক্রবর্তী। সভাপতিত্ব করেন অর্থোপেডিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা: শংকর কুমার রায়।
প্রধান অতিথি বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্য ও অন্য যাঁরা ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন; তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। তাঁদেরই স্মরণে আজকের আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ‘বিনামূল্যে’ ব্রেস বিতরণ ও বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান। যাঁরা জন্মগতভাবে স্বাভাবিক পায়ের অধিকারী নন, তাঁরা এবং তাঁদের পরিবার আর্থিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। কিন্তু, আধুনিক অর্থোপেডিক্স চিকিৎসা ও ব্রেস গ্রহণের মাধ্যমে এ অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব। তিনি বলেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগে সপ্তাহের প্রতি রোববার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের এ চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। তিনি রোগীদের এ সেবা গ্রহণের আহ্বান জানান।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের এ চিকিৎসা প্রদান আগেও ছিল। এখন থেকে রুটিন মাফিক এ সেবা প্রতি রোববার সকাল ৮টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রদান করা হবে। দরিদ্র রোগীদের বিশেষ ব্যবস্থারও সুযোগ থাকবে। তিনি সিলেটবাসীকে এ সুযোগ নিতে অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-সহকারী অধ্যাপক ডা: মো: ফারুকুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মো: আব্দুস সোবহান রাহিন, চিকিৎসক, শিক্ষকবৃন্দ, মেট্রন ও সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েদের পর্যাপ্ত খাবার, সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ, জটিলতা সৃষ্টিকারী ঔষধ পরিহার এবং অধিক পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা পরিহার করলে হয়তো এসব ‘মুগুর পা’-র শিশু জন্মদান কমে যাবে। অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন-অর্থোপেডিক্স বিভাগের আবাসিক সার্জন (অর্থো:) ডা: মো: ফয়সল আহমেদ মুহিন।