আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার শেখ হাসিনা
যাকেই নমিনেশন দেয়া হবে তার জন্য কাজ করতে হবে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ৫:১৯:১৬ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হোক না কেন, তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নৌকা মার্কায় আমরা যাকেই নমিনেশন দিই, ভালো-মন্দ, কানা-খোড়া যা-ই হোক, আপনাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে।’
গতকাল রোববার আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার সমাপনীর বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে হাত তুলে প্রতিশ্রুতি করার আহ্বান জানালে সবাই হাত তোলেন।
তিনি দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মানুষের পাশে থেকে মানুষের হৃদয় জয় ও তাদের আস্থা-বিশ্বাস অর্জনের নির্দেশ দেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। আগামী নির্বাচনের জন্য এখন থেকে জনমত সৃষ্টি করে আবারও যেন বিজয়ের পতাকা নিয়ে এই গণভবনে আসবেন, সেই দাওয়াত দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আপনারা মানুষের কাছে গেলে, সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরলে, ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি দিলে, অবশ্যই মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। নৌকায় ভোট দেবে। নৌকায় ভোট দিয়ে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা পেয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ গেছে। সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে বলে হয়েছে। সেটা মানুষকে বলতে হবে। তাদের সমর্থন আদায় করতে হবে। এটাই হবে সব থেকে বড় কাজ।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে আমাদের ক্ষমতায় যাওয়া না যাওয়া। সেই কথাটা মাথায় রেখে আমাদের ওপর ভরসা রাখতে হবে। কারণ, আমরা যখন নমিনেশন দেবো, অবশ্যই আমাদের মাথায় এটাও থাকবে যে, কাকে নমিনেশন দিলে ওই সিটটা আমরা ফিরে পাবো।’
দলের নমিনেশন দেওয়ার প্রক্রিয়া তুলে ধরে মনোনয়ন বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক সময় আমি খবর পাই, মাঝে মাঝে ম্যাসেজও পাই যে, এক এলাকায় আমাদের সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অথবা নেতার বিরুদ্ধে আমাদেরই লোকটা নানা অপপ্রচার চালায়। আমি তাকে লিখলাম, ওপর দিকে থুথু ফেললে নিজের গালেও পড়ে। যাকে খাটো করার চেষ্টা হচ্ছে সে খাটো হলে দলই খাটো হবে। আর নৌকার ভোট কমবে।’
বর্ধিত সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৪৩ জন নেতাকে বক্তব্যের সুযোগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘নতুনদের থেকে বক্তব্য শুনতে চেয়েছি। কষ্ট করে এসেছেন। যেসব বক্তব্য এসেছে তা অত্যন্ত গঠনমূলক। সেই জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। যাদের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে পারিনি, ভবিষ্যতে যখন ডাকবো তখন এবার যারা দিয়েছেন, তাদের বাদ দিয়ে বাকিদের দেবো। যারা সময় মতো কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের কিন্তু বক্তৃতা করতে দেইনি। দেবো না। যারা সংগঠন করে আসবেন, তারাই সুযোগ পাবেন। এভাবেই আমরা আস্তে আস্তে দলকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসবো।’