দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে সক্রিয় হতে হবে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ আগস্ট ২০২৩, ১:৩০:১৭ অপরাহ্ন
আফতাব চৌধুরী
স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি একটি বহু আলোচিত বিষয়। আক্ষরিক অর্থেই জ্বলন্তসমস্যা এ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ৪/৫ দশকে এমন একটি স্থানে গিয়ে পৌঁছেছে যে, আগামী বছর গুলোতেও এর সমাধানের আশা করা অনর্থক। অথচ বহু স্বপ্ন বহু আকাঙ্খা নিয়ে এ দেশের মানুষ পশ্চিমাদের হটিয়ে বুকের রক্ত ঝরিয়ে প্রাণ দিয়ে আশা করেছিলেন তাদের পরবর্তী প্রজন্মের সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য এবং সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত। পাক সেনাদের হাত থেকে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার সময় বাংলাদেশীদের স্বপ্ন ছিল, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে কেউ দুঃখী থাকবে না, দুর্বল-সবল বিভেদ থাকবে না, থাকবে না ধনী-গরিবের ব্যবধান। ঘটবে জমিদার প্রথার মত বিষয়ের বিলুপ্তি। সবাই বাস করবে সমমর্যাদায়, সহঅবস্থানে এবং সমসম্মানে।
কিন্তু না, স্বাধীনতা লাভের পর আশাতীত উল্টো ঘটনাই ঘটতে লাগল। সাহেবরা দেশ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কল্পনাতীত কিছু সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে আরম্ভ করে। ‘নিষ্ঠুর’ হিসেবে আখ্যায়িত পাকিস্তানীদের বিতাড়নে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ‘কার আগে প্রাণ কে করিবে দান’ পদ্ধতি প্রয়োগ করলেও স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশীদের মধ্যে ভাইয়ে ভাইয়ে আরম্ভ হয়ে যায় ‘কার আগে প্রাণ কে কেড়ে নিতে পারে’ এমন প্রতিযোগিতা। এমনতর বহু জ্বলন্তসমস্যার মধ্যে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস অর্থাৎ দ্রব্যমূল্যের আকাশমুখী হওয়াও অন্যতম। ৪/৫ দশক আগে ‘সোনার ডিম’ দেওয়া বাংলাদেশে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য সামগ্রীর মূল্যে এতো ‘অগ্নি সংযোগ’ দেখা যেত না। সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে এত মাথা ঘামাতে হত না। তখনকার দিনে বেতন ভোগীদের বেতনে প্রাপ্ত টাকা যদিও আজকের তুলনায় নিতান্তই নগণ্য ছিল, আর দ্রব্যমূল্য স্বল্প এবং অভাবনীয় ওঠা-নামা না করার দান কোন একটি গোষ্ঠী হঠাৎ করে বড় ধরণের লাভবান বা ক্ষতিগ্রস্থ হতো না।
একমাত্র প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া অন্য কোন কারণে হুট করে কৃষিজাত সামগ্রী উৎপাদনকারী কৃষক বা কলকারখানা-শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বড় রকমের লোকসানের মুখোমুখি হতেন না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চিত্রটি ক্রমশ পাল্টাতে থাকে। বদলাতে থাকে দেশের অর্থনীতি। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের হাল ধরে থাকা সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতির পথে প্রধান অন্তরায় এ দ্রব্যমূল্য রোধে কোন উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। দেশের হাল ধরে থাকা নেতৃবর্গ দ্রব্যমূল্য রোধে সে সময় পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বিভিন্ন কারণে। প্রথমত, স্বাধীনতার আগে বা পরে, কাছাকাছি সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি দরিদ্রকে করেছে আরও দরিদ্র, ধনীদের আরও ধনী। অঙ্কুরে বিনষ্ট করতে না পারলেও এর রাশ নিজেদের হাতে তুলে নেয়া উচিত ছিল, যে শাসকবর্গের, তারা আজও বিদ্যমান অন্য রূপে, অন্য নামে, অন্য প্রজন্মে। তাই এর সুরাহাও হওয়ার নয়।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি, উগ্রপন্থীদের উত্থান ও বেকার সমস্যা ও প্রদূষণ-এ চারটির পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও বাংলাদেশ বাসীর কাছে আজ অভিশাপ স্বরূপ। এ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কোপ মূলত পড়ছে নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত এবং দারিদ্রসীমার কাছে-পিঠে বাস করা মানুষের উপর। যারা আবার সংখ্যায় ১৬ কোটির কম হবেন না। সমস্যা ততটুকু চেপে বসেনি। দ্বিতীয়ত, আদৌ এ সমস্যা যে অচিরেই দেশবাসীর জীবন দুর্বিসহ করে তুলতে পারে এমন সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হয়নি কোন তথাকথিত ‘দূরদর্শী’ নেতার চিন্তা-ভাবনায়। তৃতীয়ত, স্বাধীনতার পর প্রথম দশ বছরেও (১৯৭১-৮১) মানুষের ক্রয়ক্ষমতা মোটামুটি নাগালের মধ্যেই ছিল। চতুর্থত, সে সময়ে যে রাজনৈতিক নেতৃবর্গের হাতে দেশের শাসনভার ন্যস্ত ছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ এ সমস্যা অনুধাবন করে থাকলেও এর সমাধানের কোনো যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ খুঁজে পাননি।
এদিকে রাজনৈতিক এ নেতৃবর্গের ‘ট্রাডিশন আজো সমানে চলছে।’ অনেকে এর সমাধান চান না। কেউ কেউ সমাধান চাইলেও সঠিক পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্তস্বাধীনতার প্রথম ৩০ বছরে যে গতি দেখা গেছে দ্রব্যমূল্যের ক্ষেত্রে তাকে হার মানাচ্ছে বর্তমান দশক।
২০০০ সালে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর যে বাজারদর ছিল তা আজ এ ২০২৩ এ অনেকটা অবাস্তব ঠেকে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি- বিষয়টি আজ মানুষকে হাড়ে হাড়ে জ্বালা দিয়ে যাচ্ছে। সংসার চালাতে গিয়ে আজ প্রতিটি মানুষ বুঝতে পারছে কত ধানে কত চাল। এ মূল্যবৃদ্ধির জ্বালা প্রতিটি স্তরে আজ মানুষকে ভুগিয়ে খাচ্ছে। মানুষের আয় তুলনায় বৃদ্ধি পেলেও তা দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই মানুষের কাছে এ মূল্যবৃদ্ধি আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন দিন এ মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষকে নিজের চিন্তা-ভাবনাকে নতুন করে রূপ দিতে হচ্ছে। সমস্ত পুরনো পরিকল্পনা ভেঙ্গে দিয়ে নতুন পরিকল্পনা সাজাতে হচ্ছে। আর তাতে একদিক কোলে আরেকদিকে ভাটা পড়েছে। মানুষ খুব বেশিদিন নিজেকে পরিকল্পনার ছাঁচে বেধে রাখতে পারছেন না।
কিছুদিন অন্তর অন্তর এ মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষ নিজের জীবনের বাড়তি কোনো সুখের সন্ধান করতে পারছেন না। এ মূল্যবুদ্ধির ফলে মানুষের কাছে অনেক স্বপ্ন আজো অধরা রয়ে গেছে। ভালভাবে যেখানে খাওয়া-পরার মন্দা, সেখানে মানুষ কি করেই বা রঙ্গিন স্বপ্ন দেখার দুঃসাহস করতে পারেন।
তবে সমাজের মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর কাছে এ মূল্যবৃদ্ধির জ্বালা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। সে ক্ষেত্রে ধনী বা গরিব কোনো বিষয় নয়। কেননা প্রত্যেক পরিবারের একটি নির্দিষ্ট বাজেট থাকে। প্রত্যেকে তার নিজস্ব বাজেটের মধ্যে থেকে দিন অতিবাহিত করতে চায়। কিন্তু আজকের দিনে সেটা আর সম্ভব হয়ে উঠছে না। কেননা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিই হচ্ছে আমাদের সমস্যা। কোন সামগ্রীর মূল্য কত, তা বলা কঠিন। স্ত্রী, পুত্র, কন্যা সবাইকে খেয়ে পরে বাঁচতে হবে বলে এ অসহনীয় অবস্থা তাকে হাসিমুখে বরণ করে নিতে হচ্ছে। আর এজন্য সাধারণ মানুষ দোষারোপ করছে সরকার ও সরকারের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টদের যারা অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়ে ইচ্ছা বা অনিচ্ছা যে কোনো কারণে হোক সামাল দিতে পারছেনা। এ সমস্যার ফলে ছেলে মেয়েদের ভাল নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে পড়াশোনা করানোর মানুষের যে স্বপ্ন সেটাও অনেকাংশে মার খেতে বসেছে। সংসারের এক দিক ঢাকলে অন্য দিক যখন শূন্যে উঠে যাচ্ছে তখন অভিভাবকরা খুব বেশি দূরের চিন্তা করতেও পারছেন না। বৈঠকখানা থেকে রান্নাঘর পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহারিক জিনিষের দাম আজ ভীষণভাবে বেড়ে গেছে। সে সঙ্গে মাসের বাজেটের মধ্যে যদি কোনো বাড়তি খরচ থাকে তখন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। কোনো ধরনের অনুষ্ঠানাদিতে যেতে হলে মানুষের মধ্যে বাড়তি খরচের যে কচকচানি থাকে সেটা তাকে সে পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে অনেক ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে। মূল্যবৃদ্ধির ফলে এসব ক্ষেত্রে মনস্তাত্ত্বিক দিক দিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের জড়তা কিংবা হীনম্মন্যতা কাজ করে।
দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধির ফলে সৌখিনতার ব্যাপারটিও মানুষের জীবন থেকে ক্রমে ক্রমে উঠে যাচ্ছে। কেননা এ সৌখিনতা বজায় রাখতে হলে পর্যাপ্ত অর্থ খরচের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এ মূল্যবৃদ্ধির ফলে মানুষের যেখানে ভাত-কাপড়ের চিন্তা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সেখানে সৌখিনতার স্থান অনেক খানি গুটিয়ে এসেছে। তারা নিজেদের সন্তানের দাবি-দাওয়াগুলো সব সময় মেটাতে পারছেন না। ভাল শিক্ষা পাইয়ে দিতে, ভাল স্কুল-কলেজে নিজের সন্তানকে পড়াতে গিয়ে বাবা-মাকে অনেক সময় নিজের সাধ-আহ্লাদ বিসর্জন দিতে হচ্ছে। ভাল এবং বড় স্কুলে উচ্চবিত্ত ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা-মায়েরা নিজেদের ছেলে-মেয়েকে পড়ালেখা করাতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন। কেননা, বড় ঘরের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে নিজেদের সন্তানকে সমানতালে চালাতে গিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো নাকানিচোবানি খাচ্ছে। চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে অভিভাবকরা আজ টালমাটাল অবস্থায় পড়ছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও সবকিছু সামাল দিতে তারা বাধ্য হচ্ছেন। আর এ সব কিছুই ঘটছে মূল্যবৃদ্ধির নাগপাশে আবদ্ধ হয়ে।
এ মূল্যবৃদ্ধির নাগপাশে আবদ্ধ হয়ে একটি মধ্যবিত্ত পরিবার কিন্তু সবদিক দিয়েই মার খাচ্ছে। কোনো অবস্থাতেই সে এতে করে উচ্চবিত্তের পর্যায়ে পৌঁছুতে পারছে না। তবে তার অবস্থা আগের থেকেও অনেকাংশে খারাপ হয়ে যায়। একটি পরিবার তার রোজগারের এক-তৃতীয়াংশ খাওয়া-দাওয়ায় ব্যয় করে। কিন্তু বর্তমানে এ দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধি তাদের সে হিসেব-নিকাশকে পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে। কোন খাতে কত ব্যয় হবে এবং কত ব্যয় করলেই বা তাদের সুবিধা হবে এ ব্যাপারে তারা ধন্দে পড়ে গেছেন। মূল্যবৃদ্ধির এ সমস্যা উচ্চবিত্তকে খুব বেশি নাড়া না দিলেও মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবার গুলোতে এ সমস্যা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উঁকি মারছে। মধ্যবিত্ত পরিবার যেমন এ সমস্যার ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে কিছু কম খরচ করেও ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করে থাকেন, ঠিক তেমনি উল্টো দিকে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা-দীক্ষার খরচ কমিয়ে তাদের রোজগারে লাগিয়ে দেন। আর এ থেকেই জন্ম নেয় শিশুশ্রম। এদিকে নিম্নবিত্ত পরিবার গুলোর লোকেরা তিন বেলা ভাত খাওয়ার কথা চিন্তা করতে পারেন না। কেননা বেশির ভাগ সময়ই তাদের আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হয়। শরীরে যখন প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয় না, তখনই দেখা দেয় হরেক রকম রোগ। আর বাড়তি পর্যাপ্ত খাওয়া-দাওয়ার অভাবে নিম্নবিত্ত শিশুরা স্কুলেও যেতে চায় না। ছেলে-মেয়েদের নূন্যতম চাহিদা যখন বাবা-মায়েরা পূরণ করতে অসমর্থ হয়ে পড়েন তখন তারা মানসিক ও শারীরিক উভয় দিক দিয়েই ভেঙ্গে পড়ে। এর ফলে তাদের ভবিষ্যৎ গভীর অন্ধকারের দিকে তলিয়ে যেতে বসে।
বাংলাদেশে আজো এমন পরিবারের সংখ্যা খুবই কম যেখানে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই উপার্জন করে সংসার পরিচালনায় একে অপরকে সহায়তা করে থাকেন। আজো দেশে এমন পরিবারের সংখ্যাই বেশি যেখানে মাত্র একজন সদস্যের উপার্জনেই গোটা পরিবার নির্ভরশীল। আর এ ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি সেখানে নরসংহারক হিসেবেই বিবেচিত।
এদিকে করোনা ভাইরাসজনিত কারণে বলতে গেলে সকল পর্যায়ে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।কৃষিকাজে মানুষ পিছিয়ে যাচ্ছে। শিল্প কারখানাসহ সকল উৎপাদনমুখী কর্মকান্ড প্রায় বন্ধ। এদিকে দেশে হু হু করে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সে তুলনায় কোন ক্ষেত্রেই উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে না। সরকার অত্যন্ত সজাগ ও সচেতন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় প্রতিদিনই সকল উৎপাদন কর্মকান্ডে আমাদের সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে আমাদের প্রধান উপাদান খাদ্য উৎপাদনে শুধু উৎসাহ দিচ্ছেন তা নয় বরং নানারকম প্রনোদানার কথা বলে যাচ্ছেন। আমাদের সকলের এ মূহুর্তে বিশেষ করে কৃষিকাজের মাধ্যমে যাতে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় সে ব্যাপারে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় এ বারের ধাক্কা সামাল দেয়া কঠিন হবে-দেখা দিবে মহা বিপর্যয় যা কোনও ভাবেই কাম্য নয়।
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।