চুনারুঘাটে ৩ সন্তানের জননীকে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ আগস্ট ২০২৩, ৫:০৯:৪৯ অপরাহ্ন
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে শাপলা আক্তার নামে (৩০) এক গৃহবধূর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচা শ্বশুর ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ওই গৃহবধূ মারা যান। গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মিরাশি ইউনিয়নের পরাজার গ্রামের আবুল বারেকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের পর নিহতের পিত্রালয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এ ঘটনায় স্বজন ও এলাকাবাসীর তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। নিহত শাপলা উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের মঙ্গলেশ্বর গ্রামের আব্দুল ছুবহানের মেয়ে।
স্থানীয় ও নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে শাপলাকে বিয়ে দেন মিরাশী ইউনিয়নের পরাজার গ্রামের আব্দুল বারেকের পুত্র সবুজ মিয়ার সাথে। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৩টি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। তাদের সংসার সুখে শান্তিতেই কাটছিল। গত শনিবার নিহতের চাচা শ্বশুর আব্দুল কাদির ও তার ছেলে বিল্লালের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা হয় শাপলার। একপর্যায়ে শাপলাকে মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে পালিয়ে যায় বলে দাবি নিহতের পরিবারের। এ সময় শাপলার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এতে শাপলার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে গতকাল সোমবার সকালে শাপলা মারা যান।
নিহতের পিতা আব্দুল ছুবহান জানান, আমার মেয়ের স্বামী সবুজ মিয়ার সাথে তার চাচা আব্দুল কাদিরের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন তার চাচা ও চাচাত ভাই আমার মেয়েকে মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা করেছে বলে দাবি তার। তিনি এ হত্যার বিচার চান। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের স্বামী সবুজ মিয়া জানান, ঘটনার সময় আমি কৃষিজমিতে কাজে ছিলাম। শুনেছি আমার চাচা ও চাচাতো ভাইয়ের সাথে আমার স্ত্রীর ঝগড়া হয়েছে এবং বিষাক্রান্ত হয়ে ছটপট করছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। সেখানেই ৩ দিন পর তার মৃত্যু হয়।
চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক জানান, বিষপানে হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শাপলা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।