পাথারিয়া গাংকুল মনসুরিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসায় বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান
পুরুষ ও নারীদের সমানভাবে শিক্ষিত করে তুলতে হবে -প্রফেসর আব্দুল বাকী চৌধুরী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১২:৩১:২০ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার অন্তর্গত ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত শতবর্ষী পাথারিয়া গাংকুল মনসুরিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য জাফর উদ্দিন ও আলতাফুন নেসা চৌধুরী শরফি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার মাদরাসার হলরুমে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ফজলুল হাসান ইউসুফ আলী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল বাকী চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. হাসমত উল্লাহ ও একই কলেজের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রাজ্জাক, মাদরাসার গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো. শরফ উদ্দিন আহমদ।
মাদরাসার শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমানের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া বিপুল সংখ্যক মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ কলেজ সিলেটের সহকারী অধ্যাপক ও কো-অর্ডিনেটর এবং প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা সরাফত আলী চৌধুরীর দৌহিত্র বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন সায়েম আহমদ চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আব্দুল বাকী চৌধুরী বলেন, আধুনিক কারিকুলাম সম্বলিত মাদরাসা তথা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি অর্জন মাদরাসা শিক্ষার্থীদের দেশ ও জাতির সেবা করার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে। সরকারি চাকুরিতে প্রবেশেরও সুযোগ করে দিয়েছে। এ ডিগ্রি মাদরাসা বড়লেখা তথা বৃহত্তর সিলেট, ভারতের করিমগঞ্জ ও কাছাড় জেলার শিক্ষার্থীরা ইলমে দ্বীন, তাফসির, ফিক্বাহ ও হাদিস শাস্ত্র অধ্যয়নের জন্য এ মাদরাসায় অধ্যয়নকল্পে আসতেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও পূর্ণ ডিগ্রি মাদরাসা হিসেবে এর অবস্থান সুসংহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীদের সংখ্যা অধিক জেনে সিলেট সরকারি কলেজের সাবেক এ অধ্যক্ষ ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি আরও বলেন, পুরুষ ও নারীদের সমানভাবে শিক্ষিত করে তুলতে না পারলে জাতির কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা নর-নারী নির্বিশেষে মেধা প্রদান করেছেন। বৃত্তি প্রদান শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে অনুপ্রেরণা যোগায়। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষের প্রতি তিনি উদাত্ত আহবান জানান।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হল- মো. মাহিদুল ইসলাম, মো. জুনাইদ আহমদ, খাদিজা আক্তার জুমা, ছালমান আহমদ, রোজা আক্তার ও জাহিদুল ইসলাম গালিব। বিজ্ঞপ্তি