কৃষিতে স্যাটেলাইট প্রযুক্তি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১০ আগস্ট ২০২৩, ৫:৪৯:০৬ অপরাহ্ন
সহনশীলতা এমন একটি গুণ যা থেকে সাফল্য আসবেই। জুভেনাল
কৃষিতে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই করার লক্ষে কৃষকের কাছে আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছে দেয়া এবং তার ক্ষতিকর প্রভাবগুলোর সঙ্গে কৃষকের খাপ খাওয়ানোর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। এই প্রকল্পের আওতায় দেশে কৃষিতে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের কৃষিও হয়ে উঠছে প্রযুক্তি নির্ভর। মূলত কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার জরুরি। তাছাড়া, পরিবর্তিত বৈশ্বিক জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় কৃষিকে প্রযুক্তিনির্ভর করতেই হবে। এর বিকল্প নেই। সত্যি বলতে কি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকির মধ্যে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম সারিতে। দুর্যোগপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও আবহাওয়া ও জলবায়ু, নদ-নদীর পানির অবস্থা, আগাম সতর্কীকরণ সম্পর্কিত তথ্যাদি কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এই প্রেক্ষাপটে কৃষিকে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির আওতায় নেয়া হচ্ছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মূলত এসএমএস পাঠিয়ে কৃষকদের নানা বিষয়ে অবহিত করা হবে। বিশেষ করে ধানক্ষেতের যেকোন সমস্যা কিংবা জমিতে কোন সময়ে সেচ প্রয়োজন, এমনকি কী পরিমাণ পানি দরকার-সেটিও জানিয়ে দেয়া হবে। এরই মধ্যে দেশের কয়েকটি জেলায় এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছে। এবার সারা দেশের কৃষকদের কাছে এটি পৌঁছে দেয়া হবে। সরকারের বক্তব্য হচ্ছে, দেশের ৬৪টি জেলার কৃষকদের মাঝে এই প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিয়ে কৃষি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করা। সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে- কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, দীর্ঘমেয়াদি মওসুমি পূর্বাভাস, আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও পরামর্শ সেবার মান বৃদ্ধি করা এবং এই সেবা তৃণমূল পর্যায়ে দ্রুত পৌঁছে দেয়ার জন্য একটি কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।
কৃষিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতি বছরই বাড়ছে নানা ধরণের ফসল উৎপাদন। জনসংখ্যার ক্রমাগত বৃদ্ধির সাথে সাথে কৃষিজমি সংকোচিত হওয়া সত্ত্বেও ধান উৎপাদন বেড়ে চলেছে। এই কৃতিত্ব সরকারের পাশাপাশি কৃষকদেরও। কৃষিউন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে কৃষিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সময়ের দাবি। অবশ্য ইতোমধ্যেই কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকেরা এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে এখনও খুব একটা অবগত নন। তাই সারা দেশের কৃষকদের মাঝে প্রযুক্তির ব্যবহার সহজতর করতে হবে।