টানা বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে রাজনগরের কৃষকদের মাঝে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১১ আগস্ট ২০২৩, ৫:২৭:৩৮ অপরাহ্ন
রাজনগর(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি ঃ প্রচন্ড তাপদাহ, অনাবৃষ্টি ও খরার পর বিগত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে কৃষক কূলে। প্রকৃতির বৈরীতা কেটে যাওয়ায় চাষীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে কর্মচাঞ্চল্যতা। আমনের জমি তৈরি ও চারা রোপণে ব্যস্ততা কৃষকদের। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে রাজনগর উপজেলার ফসলের মাঠে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১৩ হাজার ২১২ হেক্টর ভূমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতো মধ্যে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর আবাদ হয়েছে।
অনাবৃষ্টি আর তাপদাহের কারণে আমন চাষীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছিল। গত তিন দিনের বৃষ্টিতে চাষীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বস্তি। উপজেলার কড়াইয়া ও কাউয়াদিঘি হাওর এলাকাসহ বিস্তীর্ণ হাওরে আমন আবাদে চাষীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে গেলে কথা হয় উপজেলার হাওর কড়াইয়া এলাকার পঞ্চানন্দপুর গ্রামের আমন চাষী মোঃ সাকেদ মিয়ার সাথে। ক্ষেতের মাঠে জমি চাষ দিচ্ছেন তিনি। এসময় কাছে গেলে পাওয়ার টিলার থামিয়ে বলেন, বৃষ্টির অভাবে জমি চাষাবাদে পেছনে পড়েছি। এখন বৃষ্টি হওয়াতে জমি চাষ শুরু করেছি। আর যদি খরা না আসে তবে কয়েকদিনের মধ্যে চারা রোপণ করবো। একই এলাকার জহিরুল ইসলাম বলেন, আগেরমত বর্ষার রূপ নেই। আমন চাষের এ মৌসুমে অনাবৃষ্টিতে আমাদের মধ্যে হতাশা চলে এসেছিল। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এলাকার চাষীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আবার বুকভরা আশা নিয়ে মাঠে কাজ শুরু করেছি। উপজেলার কাউয়াদিঘি হাওর পারের চাষী সিকন্দর মিয়া বলেন, বৃষ্টি কম হওয়ায় পাশের নালা থেকে পানি সেচ দিয়ে চাষাবাদ করছি। দু’দিনের বৃষ্টিতে ক্ষেতে কিছুটা পানি জমেছে । বৃষ্টি না হলে অনেক জমি আবাদ করা যেতো না। রাজনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রেজাউল করিম বলেন, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার কৃষকরা স্থানীয় ও উপশিসহ ১০ জাতের ধান চাষ করছেন। চলতি বছর ১৩ হাজার ২১২ হেক্টর আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে কিছুটা বিঘœ ঘটেছে। তবে ইতো মধ্যে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর আবাদ শেষ হয়েছে। রাজনগর উপজেলায় গত বছরের চেয়ে ১১৬ হেক্টর বেশী আমন আবাদ হবে বলে জানান তিনি।