দিনের বেলায়ও লুট হয় সাদা পাথর
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১১ আগস্ট ২০২৩, ৫:৪০:২৮ অপরাহ্ন
আইনশৃঙ্খলা সভায় ক্ষোভ
কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা: কোম্পানীগঞ্জে রাতের পর এখন দিনের বেলায়ও লুট হচ্ছে পর্যটন স্পটের পাথর। এমন অভিযোগ এনে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং।
সভায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরা বলেন, আগে রাতের আঁধারে লুট হতো ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর পর্যটন স্পটের পাথর। এখন দিনের বেলায়ও শুরু হয়েছে লুটপাট। ধলাই নদে সীমান্তের শূন্যরেখার (জিরো পয়েন্ট) এই পাথর যাদের রক্ষা করার কথা, অর্থের বিনিময়ে তারাই পাথর সরাতে সহযোগিতা করছে। আইন রক্ষাকারী এই সংস্থাটি সক্রিয় থাকলে দিনের বেলায় পাথর লুট ঠেকানো যেত।
এদিকে, বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা চলাকালেও জিরো পয়েন্টের পাথর লুট হচ্ছিল বলে একটি সূত্র সভাকে জানায়। সূত্রটি ইউএনওর ওয়াটস্আপে পাথর লুটের একটি ভিডিও পাঠায়। সভাতেই এটি বিজিবি কর্মকর্তাদের দেখান ইউএনও। ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আজ ১০ আগস্ট ২০২৩। সাদা পাথর পর্যটন স্পট থেকে দিনের বেলায়ও লুট হচ্ছে পাথর।’
ভিডিও দেখে বিস্মিত হন সবাই। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজিবির কালাসাদেক ক্যাম্প কমান্ডার নুরুল আমিন বলেন, ‘তিনি নতুন এসেছেন। এলাকার পরিস্থিতি বুঝে ওঠতে পারেননি। তবে, আজকের পর থেকে জিরো পয়েন্টের পাথর যেন কেউ সরাতে না পারে, সেজন্য বিজিবির তৎপরতা বাড়ানো হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, বুধবার রাতে পাথর লুট করতে তৎপর ছিল একটি চক্র। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালানো হয়। রাত ১১টা ৫০ মিনিটে নদীর তীরে অবৈধভাবে মজুত করা পাথর জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সাদা পাথর সংরক্ষণ করতে না পারলে পর্যটন স্পটের সৌন্দর্য বিনষ্ট হবে। এটি রক্ষায় যাদের বেশি সক্রিয় থাকার কথা, তারা সক্রিয় নয় বলে রাতেও অভিযান চালাতে হচ্ছে।
সাদা পাথর চুরি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়াসহ বিভিন্ন স্কুল, বাসা-বাড়িতে চুরি ও সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে পুলিশ-বিজিবিকে আরও তৎপর হওয়ার আহবান জানানো হয় সভায়।
সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিএম সাদিক আল শাফিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়া, নারী ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা বেগম, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি হিল্লোল রায়, ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী জিয়াদ আলী, পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর আলম, ইছাকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুর রহমান সাজু, কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কামরুজ্জামান রাসেল, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তৌফিক হাসান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদিউজ্জামান আহমেদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিবলী আতিকা তিন্নি, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মৃণাল কান্তি চৌধুরী, বিজিবির উৎমা ক্যাম্প কমান্ডার জাবেদ, কালাসাদেক ক্যাম্প কমান্ডার নুরুল আমিন, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোছাম্মৎ সেলিনা বেগম প্রমুখ।