ভেঙে দেয়া হল পাকিস্তানের পার্লামেন্ট
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১১ আগস্ট ২০২৩, ১১:২৯:৪৩ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পরামর্শের ভিত্তিতে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ (পার্লামেন্ট) ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এর মাধ্যমে দেশটিতে নতুন নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত হলো।
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে বুধবার মধ্যরাতে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। প্রেসিডেন্টের দপ্তর আইওয়ান-ই-সদর নির্দেশনা জারি করে বলেছে, সংবিধানের ৫৮ ধারা অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ প্রেসিডেন্ট আলভির কাছে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে চিঠি পাঠান। ১২ আগস্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল শেহবাজ শরিফ সরকারের। তিনদিন আগেই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
গত বছরের এপ্রিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত করে প্রধানমন্ত্রী হন শেহবাজ শরিফ। এরপর নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল তার সরকার। এছাড়া প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানো ইমরানকে দমনেও ব্যস্ত ছিল শেহবাজ শরিফের সরকার।
অনেকের ধারণা, ইমরান খান যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন- পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আগে সেই ব্যবস্থা করেছে শেহবাজের জোট সরকার।
ইমরানকে প্রথমে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তিন বছরের কারাদ- এরপর তাকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা করেছে তারা।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ায় এখন নির্বাচন কমিশনকে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। যদি সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পার্লামেন্ট ভাঙা হতো তাহলে তাদের ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হতো।
জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদি ১২ আগস্ট মেয়াদ পূর্ণ করে শেহবাজ পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানাতেন, তাহলে তিনি তা বিলম্ব করতে পারতেন। আর বিলম্ব হলে নির্বাচন কমিশনকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হতো।
এ আশঙ্কা থেকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শেহবাজ শরিফ সরকার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।