আন্তর্জাতিক যুব দিবস
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ আগস্ট ২০২৩, ১২:১৯:৪২ অপরাহ্ন

সহনশীলতা এমন একটি গুণ যা থেকে সাফল্য আসবেই। -জুভেনাল
আজ আন্তর্জাতিক যুব দিবস। প্রতি বছরের ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত হয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালনের প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। দিনটি প্রথম পালিত হয় ২০০০ সালে। বিশ্বের সব দেশের সরকারের মধ্যে তাদের দেশের যুবকদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সচেতনতা তৈরি করা এই দিবসের লক্ষ। বিশ্বের সব দেশকে যুবকদের প্রতি মনোযোগ দেয়া এবং শিক্ষা ও স্বনির্ভর হওয়ার পথে তাদের সাহায্য করা সরকারের কর্তব্য। এই উপলব্ধিটুকু স্মরণ করিয়ে দিতেই প্রতিবছর যুব দিবস পালিত হয়।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে, একটা দেশের যুব সমাজ সেই দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। দেশের সার্বিক অগ্রগতি কিংবা যে কোন দুর্যোগ দুর্বিপাকে যুবসমাজই জাতির কল্যাণে এগিয়ে আসে। বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এমন কি বর্তমান মহামারির মতো বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসাবে কাজ করছে প্রতিটি দেশের যুবসমাজই। বিশ্বব্যাপি সামগ্রিক পরিবর্তন আনতে যুব সমাজের এই অবদানের জন্য প্রতি বছর ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত হয়। আর বাংলাদেশের জন্য দিবসটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠিই তরুণ ও যুবক। তারাই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রকৃত কারিগর। এদেশের মুক্তি সংগ্রাম থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে এ দেশের যুবসমাজ। শুধু তাই নয় দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজকে আলোকিত করতে এই যুব সমাজের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। যুবসমাজ এদেশের ক্রান্তিকালে সব সময় নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে নিজেরা যেমন হয়েছেন ইতিহাসের উজ্জ্বল সাক্ষি, তেমনিভাবে তাদের এই আত্মত্যাগ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য হয়ে আছে অনুসরণীয়। গণতান্ত্রিক সকল আন্দোলন অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে এ দেশের যুবসমাজ সবসময় ছিলো সক্রিয়। তবে মুদ্রার উল্টো পিঠও আছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, সমাজের কল্যাণকর কাজের পাশাপাশি নানা ধরণের ঘৃণ্য অপকর্মের সাথে যুক্ত হচ্ছে যুবসমাজের একটা অংশ। অনেকে নেশায় আসক্ত হয়ে পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে তৈরি হচ্ছে। অথচ এ দেশের যুবসমাজ প্রগতিশীল ভাবনা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে অতীতে যে স্বর্ণালী ইতিহাস তৈরি করেছে তা আজও ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে।
সবকিছুর পরে, আমাদের সমাজ-দেশের বর্তমান আর ভবিষ্যতের কর্ণধার এই যুবসমাজকে অতীতের কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের ধারাবাহিকতায় পরিচালিত করতে হবে। সৃজনশীল প্রতিভাবান যুবক ও যুবতি রয়েছে, যাদের কর্মতৎপরতায় শুধু তারা নিজেরাই বিকশিত হচ্ছে না, বরং তাদের ব্যক্তিক সাফল্যের দ্বারা পুরো দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। আর এই যুবসমাজের কর্মযজ্ঞের মাধ্যমেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।