‘ভালোবাসার অবগাহন’ : পাঠপর্যালোচনা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ৪:৩০:০৪ অপরাহ্ন
![‘ভালোবাসার অবগাহন’ : পাঠপর্যালোচনা ‘ভালোবাসার অবগাহন’ : পাঠপর্যালোচনা](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2023/07/dak-po-sompadoki-300x191-1-150x150-1-1.jpg)
মকবুল হোসেন সজল
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নিউইয়র্ক প্রবাসী লেখক ফজলুর রহমান চৌধুরীর সাথে তেমন কোনো পরিচয় নেই। তবে তিনি আমার ফেসবুক বন্ধু। ফেসবুকের পাতায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি যে লেখালিখি করেন, সেগুলোর সাথে পরিচিত হয়ে তাকে খুব ভালো লাগে। নিউইয়র্কে অবস্থানকালে তার গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবের ভিডিও দেখে বইটি পড়ার আগ্রহ জাগে।
দেশে আসার বেশ কিছুদিন পর তার ‘ভালোবাসার অবগাহন’ গ্রন্থটি সংগ্রহ করে দুই দিনে পড়ে ফেলি। দেড়শো পৃষ্ঠার এ গ্রন্থে ২৩টি অধ্যায়ের প্রায় সবগুলোই স্মৃতিকথা। প্রায় সবগুলো তার শৈশব, কৈশোর, গ্রামের বাড়ি, বাড়ির মানুষ, আত্মীয়-পরিজন, স্কুল, পড়ালেখা, শৈশবে দেখা বর্ষা, খেলাধূলা, মানুষের জীবন, রাজনীতি, অর্থনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, হানাদার বাহিনী, বিজয়, বঙ্গবন্ধু এবং ২০২০ সালের ভয়াবহ করোনা মহামারির স্মৃতি লিখেছেন। তাই এটাকে স্মৃতিগ্রন্থ বা জীবনীগ্রন্থও বলা যায়।
গ্রন্থে হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী হিয়ালা গ্রামসহ আশেপাশের বেশ কিছু গ্রামের উল্লেখ করেছেন তিনি। শৈশবে পিতৃহারা লেখক তার পরহেজগার দাদা ও স্কুল শিক্ষক মা-সহ শতাধিক ব্যাক্তির নাম এবং তাদের কাছ থেকে পাওয়া আদর-স্নেহ, মায়া-মমতা, শিক্ষা ও ভালোবাসার কথা চমৎকারভাবে বলেছেন। ছোটবেলায় দেখা বিভিন্ন ঋতুকে বিশেষ করে ভাটি এলাকার বর্ষার যে সুন্দর, বর্ণনা দিয়েছেন, যা পড়ে আমার দেখা বর্ষা কাল, বর্ষার ঝুম বৃষ্টি, চারিদিকে থৈ থৈ পানি, নৌকাবাইচ, মাছ শিকার ইত্যাদির কথা খুব করে মনে পড়ে।
বইটির প্রচ্ছদ, গদ্যশৈলী ও সাহিত্যমান নিয়ে সমালোচনার যোগ্যতা আমি রাখিনা। তবে যদি লিখতে পারতাম, বইটির নাম ‘ভালোবাসার অবগাহন’ না দিয়ে হয়তো ‘ভালোবাসায় অবগাহন’ দিতাম। পরিশেষে বইটি পাঠিয়ে আমাকে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক বন্ধু জাবেদ আহমদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।