সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ
ওসমানীনগরে হামলা-ভাঙচুর করে উল্টো অপপ্রচার চালাচ্ছে প্রতিপক্ষ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১১:২৯:৫০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ওসমানীনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুট করার পর উল্টো অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামের রুমান আলী তোরন। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা পক্ষপাতদুষ্ট বলেও অভিযোগ তার।
গত শনিবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন রুমান আলী তোরন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ, মিথ্যা বানোয়াট ও তথ্য বিবর্জিত কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে পুলিশের কতিপয় সদস্যের যোগসাজসে স্থানীয় চান মিয়ার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে আমার বাড়ির কবরস্থান নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। হামতনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যলয়ের ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ কখনও ছিল না, এখনও নেই। যা এলাকাবাসী অবগত।’
রুমান আলী আরও বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনা হলো, আমার গ্রামের জামে মসজিদের উত্তর পশ্চিমে আমার ভাতিজা রুবেল মিয়ার একটি মুদি দোকান আছে। গত ২ আগস্ট সকাল ৯টায় তখদ্দছ মিয়া ও খালেদ মিয়া দোকানে গিয়ে প্রথমে হুমকি দিয়ে যায়। একাধিকবার তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়ার পর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বেলা ১টায় চান মিয়ার নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমার ভাতিজার উপর হামলা চালায়। এ সময় তখদ্দছ মিয়া রাম দা দিয়া মাথায় কোপ মারলে রুবেল মিয়া ডান হাত দিয়া বাধা দিলে তার হাত রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের সন্ত্রাসী হামলায় আরো জখম হন আরিফ মিয়া, জানু মিয়া ও আমি নিজে আহত হই।’
তিনি বলেন, ‘হামলার এক পর্যায়ে রুবেল পার্শ্ববর্তী সাইস্তা মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নিলে সন্ত্রাসীরা সাইস্তা মিয়ার বসতঘরে হামলা চালিয়ে ঘরের আসবাবপত্র, ওয়ারড্রোব ও আলমিরা ভাঙচুর করে। শোকেস এর তালা ভেঙ্গে ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও নগদ ষাট হাজার টাকা নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা সাইস্তা মিয়ার বসতঘরের দরজা জানালা ও বাউন্ডারি ওয়াল, বাড়ির টিউবওয়েল, ওয়াইফাই রাউটার ভাঙচুর করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হামতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমি দখল ও সন্ত্রাসী হামলার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর। সন্ত্রাসীদের হামলাকালে পরিবারের মহিলা সদস্যরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পাননি। সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমার আত্মীয় স্বজনরা গ্রাম ছাড়া। ঘটনার সময় ওসমানীনগর থানা পুলিশকে অবগত করলে রহস্যজনক কারণে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে তাদের সঙ্গে যোগসাজসে বাড়ির পাশে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার আমার আত্মীয় স্বজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
এই ঘটনায় রুবেল মিয়ার পিতা হাজী মো. হামদু মিয়া ওসমানীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ করেন তোরন। ‘উল্টো হামলাকারীরা বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে আমাদের পারিবারিক সামাজিক মান-সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবে ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আনার আহ্বান জানান।