বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি মাওলানা সাঈদী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১১:৩৭:৪৫ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদ-প্রাপ্ত ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বুকে ব্যথা অনুভব করলে গতকাল রোববার বিকেলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেল সুপার জানান, দুপুরে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে কারা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কর্তব্যরত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রফিকুল ইসলাম জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুকে ব্যথাজনিত সমস্যার কারণে সাঈদীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। তিনি যেহেতু বয়স্ক মানুষ তার কিছু সমস্যা ছিল। তার বুকে ব্যথা, হার্টে সমস্যা, প্রেসার ও ডায়াবেটিসজনিত কিছু সমস্যা ছিল। তিনি আরও বলেন, তাকে ইসিজিসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে অ্যাম্বুলেন্সযোগে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পাঠানো হয়।
২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর এই সাবেক নায়েবে আমির।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর মৃত্যুদ-ের রায় দেয়।
ওই রায়ের পর দেশজুড়ে সহিংসতা চালায় জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। ওই তা-বে প্রথম তিন দিনেই নিহত হন অন্তত ৭০ জন। এছাড়া বহু গাড়ি-দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়।
সাঈদী আপিল করলে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় দেয়। তাতে সাজা কমে আমৃত্যু কারাদ-ের আদেশ আসে। ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন হলেও তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।