সুনামগঞ্জ আদালত চত্বরে প্রতিপক্ষকে হত্যা ॥ একজনের মৃত্যুদন্ড
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ৫:৩০:২৯ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জে আদালত চত্বরে প্রতিপক্ষকে হত্যা মামলায় মো. ফয়েজ আহমদ (৩২) নামের এক যুবককে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অপর চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ ২৫ হাজার করে টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদ- প্রদান করেন। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি ফয়েজ আহমদ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার গলাখাল গ্রামের মৃত মহিবুর রহমান ওরফে লাল মিয়ার ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন-একই গ্রামের আফরোশ মিয়ার ছেলে মো. সেবুল মিয়া ওরফে সাজ্জাদ, তার ভাই মো. সাজিদ মিয়া, ইসমাইল হোসেন বাদশার ছেলে মো. এহসানুল করিম শাহান ও মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি ফয়েজ আহমদের ভাই ইসরাইল আলী মারজান। এরমধ্যে পলাতক রয়েছে মো. সাজিদ মিয়া, মো. এহসানুল করিম শাহান ও ইসরাইল আলী মারজান।
সুনামগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর ড. খায়রুল কবির রুমেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার গলাখাল গ্রামের মিজানুর রহমান খোকন এর সঙ্গে একই গ্রামের ফয়েজদের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। এ নিয়ে ২০২২ সালের ২১ জুলাই সাড়ে ১২টার দিকে মিজানুর রহমান সুনামগঞ্জ আদালতে আসেন। এসময় মিজানুর আইনজীবী সমিতির সামনে আসলে প্রতিপক্ষ ফয়েজ, সাজিদ, শাহান ও সেবুল উপুর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। বিষয়টি দেখে উপস্থিত জনতা, আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা এগিয়ে এসে ফয়েজ, সাজিদ ও সেবুলকে ধরে আইনজীবী সমিতিতে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে ওই তিনজনকে চাকুসহ পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ওইদিনই নিহতের বাবা ফটিক মিয়া বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় ফয়েজ আহমদ, মো. সেবুল মিয়া ওরফে সাজ্জাদ, মো. সাজিদ মিয়া, মো. এহসানুল করিম শাহান, ইসরাইল আলী মারজানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারক এ রায় দেন। এর মধ্যে মো. সাজিদ মিয়া, মো. এহসানুল করিম শাহান ও ইসরাইল আলী মারজান পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।