উপশহরের স্কুলছাত্র জাহিদ হত্যা মামলা
সিআইডির অনুসন্ধানে ৫ বছর পর আসামি সনাক্ত ও গ্রেফতার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১:০৩:৫০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটে ৫ বছর পর স্কুলছাত্র আবু হোসাইন জাহিদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি জাহিদ আহমদ (১৯)-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। গতকাল বুধবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত ছোট জাহিদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এরআগে সকাল ৬টার দিকে জাহিদকে নগরীর উপশহর ডি ব্লকের ৩৪ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাকৃত জাহিদ মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানার সুজানগর গ্রামের মোজাম্মেল আলীর ছেলে। নিহত আবু হোসাইন জাহিদ সিলেট নগরীর তেররতন এলাকার বাসিন্দা কামাল মিয়ার ছেলে।
সিআইডি সিলেটের সাব-ইন্সপেক্টর রিপন কুমার দে জানান, গ্রেফতারকৃত জাহিদের নাম মামলার অন্যতম আসামী ফজর আলীর দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসেছিলো। কিন্তু পূর্র্বের দুটি তদন্তকারী সংস্থা তার পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি। এরপর মামলাটি যখন সিআইডিতে স্থানান্তর হয়, তখন অধিকতর তদন্ত শুরু করে সিআইডি। একপর্যায়ে তার পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয় তারা। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত জাহিদকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এজন্য প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর বিকেলে উপশহর ডি ব্লক ২৫ নং রোডের শেষ মাথায় হাবীব ভেরাইটিজের সামনে সীমান্তিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র আবু হোসাইন জাহিদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামী করে ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর শাহপরান (র:) থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান (র:) থানার রাজীব কুমার রায় (সাবেক) এজাহারভুক্ত ৯ আসামির মধ্যে ৫ জনকে অব্যাহতি দিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার প্রধান আসামি ফজর আলী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ছোট জাহিদ ও নয়ন নামের ২ জনের নাম ঘটনার সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করলেও পুলিশ চার্জশিট থেকে তাদের নামও বাদ দেয়।
তদন্ত কর্মকর্তা মামলার আসামি রাহাত, উবায়দুল, নয়ন ও ছোট জাহিদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি দেখিয়ে তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কিন্তু নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি এমন অজুহাতে মামলা থেকে আসামিকে বাদ দেয়াকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেন আদালত। আদালত বলেন, যেহেতু এটি একটি হত্যাকা- বিধায় নাম ঠিকানা নিরূপণ করার চেষ্টা দরকার। আদালত পুলিশের দায়ের করা অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আমলে না নিয়ে পুনরায় অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই সিলেটকে নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে মামলার বাদী না রাজি দিলে আদালত পূনরায় তদন্তের জন্য সিআইডি সিলেটকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, মামলার পর আসামি ফজর আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে আদালত ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করে। আসামি তার জবানবন্দিতে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সালমান, আরমান, শাহেদ ও রাহাত হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে। এছাড়া নয়ন, ছোট জাহিদ ও ইয়াছিন আহমদ তায়েফ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে আদালতের কাছে স্বীকার করে।