মানসিক সমস্যাগ্রস্তের সংখ্যা বাড়ছে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ আগস্ট ২০২৩, ২:২২:১৫ অপরাহ্ন
যে ধৈর্য ধরতে জানে, তার জন্য আনন্দঘন প্রশান্তি অপেক্ষা করে। -জন লিলি
দেশে মানসিক সমস্যাগ্রস্ত তরুণদের সংখ্যা বাড়ছে। এর পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও এ সমস্যা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৯-৩০ বছর বয়সি তরুণ যুবক গোষ্ঠির মধ্যে হতাশা, বিষণœতা এবং অন্যান্য সামাজিক-মানসিক অস্থিরতা বাড়তে থাকায় বাড়ছে তাদের মানসিক সমস্যাও। এদের মধ্যে আত্মহত্যার হারও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এক্ষেত্রে ইন্টারনেট কিছুটা দায়ি বলেও প্রতীয়মান হচ্ছে।
অনেক সময়ই বিশেষজ্ঞগণ বলে থাকেন, দেশের জনগোষ্ঠির একটা বড় অংশ মানসিক রোগে আক্রান্ত। সম্প্রতি সরকারি জরিপেই বেরিয়ে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য।এতে বলা হয়, দেশে বর্তমানে ১৮ বছরের বেশি বয়সি মানুষের মধ্যে মানসিক সমস্যা রয়েছে ১৯ দশমিক তিন শতাংশের। যা আগে ছিল ১৬.০৪ শতাংশ। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ হলো ষাটোর্ধ্ব। আর ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সি অর্থাৎ শিশুদের মধ্যে মানসিক সমস্যাগ্রস্তের হার ১৭.৭ শতাংশ। আর মানসিক অসুস্থতার কারণেই সমাজে অস্থিরতা বাড়ছে। এ থেকে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। জানা গেছে, দেশে ২৫ শতাংশ মানুষ বিষণœতায় ভুগছেন। এই প্রবণতা বৃদ্ধির ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে-বিশ্বে শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষের বাস নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। একইভাবে যাদের মানসিক রোগ আছে, তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি লোক এসব দেশের বাসিন্দা। ২০৩০ সাল নাগাদ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বিষণœতা ব্যাপক আকার ধারণ করবে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জরিপের তথ্য হচ্ছে- মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের জন্য অনেকটাই ইন্টারনেট দায়ি। ইন্টারনেট মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য অনেকাংশেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে শতকরা ৭২ শতাংশই জীবনের কোন না কোন সময়ে মানসিক সমস্যার মুখোমুখি হন। এটাও ঠিক যে, বর্তমান যুগে ইন্টারনেট ব্যবহার না করলে আমাদের তরুণ পিছিয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
সাধারণত মানসিক স্বাস্থ্য বলতে আমরা আমাদের ভাল মানসিক অবস্থা, আবেগ-অনুভূতি, চিন্তা-ভাবনা, সমস্যা সমাধান বা মোকাবিলার সক্ষমতা, সামাজিক সম্পর্ক ও জীবন সম্পর্কে আমাদের বোধগম্যতাকে বুঝিয়ে থাকি। এর ব্যত্যয় হচ্ছে মানসিক রোগ। আমাদের দেশে এর চিকিৎসা অপ্রতুল।এই সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ হাতে গোনা। মানসিক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে দেশের মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও জোরালোভাবে এগিয়ে নিতে হবে। সেইসঙ্গে দরকার পরিবার ও সমাজের সচেতনতা।