মডেল গ্রামিণ বাজার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ আগস্ট ২০২৩, ৫:৪০:১৮ অপরাহ্ন
পিতার আত্মনিয়ন্ত্রণই ছেলেমেয়েদের পক্ষে সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ। -ডেমোক্রিটাস
গ্রামিণ বাজার নির্মাণ প্রকল্পে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। প্রকল্প শুরুর চার বছর পরও এর অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়।কোন কোন স্থানে নির্মাণ কাজ শেষ হয় নি। আবার কোথাও নির্মিত হলেও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তা চালু হচ্ছে না। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবন। আবার অনেক বাজার ভবন নির্মাণে অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে।
উদ্যোগটি নেয়া হয় ২০১৭ সালে। নাম দেয়া হয়- ‘মডেল গ্রামীণ বাজার’। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রামীণ পর্যায়ে ব্যবসার পরিবেশ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।দেশের ৬৪ জেলার সব উপজেলা এলাকায় ৫০৭টি বাজার ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটির ব্যয় এক হাজার ৬৯১ কোটি টাকা। প্রতিটি বাজার নির্মাণে বরাদ্দ আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা। বাজার নির্মাণের পর স্থানীয় ব্যবসায়িদের দোকান বরাদ্দ দেওয়ার কথা। প্রকল্পের মেয়াদ ছিলো ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় তিন দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে এখন তা ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে ছয় বছর পেরোলেও প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৫০ শতাংশের কম। জানা গেছে, এপর্যন্ত সারা দেশে ৮৭টি বাজারের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু দোকান বরাদ্দের বিধিমালা জটিলতায় একটি বাজারও চালু করা যায়নি। আর যেগুলো নির্মিত হয়েছে, তাতেও রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। অনেক ভবন নির্মাণে ত্রুটি ধরা পড়েছে। জানা যায়, বাজারের নকশা প্রণয়ন, বাজার ভবন নির্মাণের অনুমতি পেতে বিলম্ব, মামলা সংক্রান্ত জটিলতা, ভূমিপ্রাপ্তি ও নির্মাণকাজ শেষে হস্তান্তর জটিলতার কারণে প্রকল্পে দীর্ঘসূত্রত তৈরি হয়েছে। আবার নির্মাণ শেষ হলেও নির্মিত ভবনগুলো জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে।
সরকার গ্রামে পৌঁছে দিতে চাচ্ছে নাগরিক সুবিধা। সেই লক্ষ অর্জন করতে গ্রামিণ জনগণের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি জোরদার করা একটি জরুরি বিষয়। আর যেহেতু গ্রামিণ অর্থনীতি কৃষির ওপর নির্ভরশীল, তাই কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে গ্রামিণ হাট বাজার উন্নয়ন ও নির্মাণ জরুরি। গ্রামিণ অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চারের উদ্দেশ্যে গৃহিত প্রকল্পটির অচলাবস্থা দূরীকরণে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হবে বলেই আমরা আশাবাদি।