পৌর কাউন্সিলরসহ আহত শতাধিক
হবিগঞ্জে এবার বিএনপি-আ’লীগ হামলা পাল্টা হামলা সংঘর্ষ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ আগস্ট ২০২৩, ১২:১৯:৪৯ অপরাহ্ন
শনিবার আহত তিন বিএনপি নেতার অবস্থা আশংকাজনক ॥ ওসিকে ঢাকায় প্রেরণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : পুলিশের পর এবার হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবারের ধারাবাহিকতায় রোববার বিকেলে শহরের শায়েস্তানগরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ ত্রিমুখি রূপ নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির প্রতিবাদে রোববার বিকেলে শহরের শায়েস্তানগর পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ। ঘোষণা অনুযায়ী নেতাকর্মীরা বিকেলে সমাবেশ স্থলে জড়ো হন। সমাবেশ শেষে মিছিল বের করা হয়। তারা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পৌঁছলে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ ত্রিমুখি রূপ নেয়।
জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। সমাবেশ শেষে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করি। এ সময় হঠাৎ বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আমাদের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আহত হন। তবে হতাহতের পরিমান কত তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র জি কে গউছ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে লাঠিসোটা সহকারে হঠাৎ আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে। অফিসে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। আমার বাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। পুলিশও তাদের সাথে সংঘর্ষে যোগ দিয়েছে। হামলায় পৌর কাউন্সিলর শফিকুর রহমান সিতুসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) বদিউজ্জামান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে কত রাউন্ড রাবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে তা এখন বলা সম্ভব নয়।
এদিকে, হবিগঞ্জে গত শনিবার পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ বিএনপির ৩ নেতাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন আইসিইউতে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। অপরদিকে গুরুতর আহত সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ জানান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আওয়াল ও যুবদল নেতা নূর উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে সিলেটে আইসিইউতে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। আরেক যুবদল নেতা আমিন শাহ’র অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান জানান, সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় (রোববার) ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।