সাত জেলার ইমামদের প্রশিক্ষণ সমাপনী ও সনদ বিতরণ
সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ইমামদের ভ‚মিকা রাখতে হবে ——–মো. কুতুব উদ্দিন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২২ আগস্ট ২০২৩, ১২:২৫:৪৩ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন বলেছেন, সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ইমামদের ভ‚মিকা রাখতে হবে। প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের জীবনমান উন্নত হলেও নৈতিকতার মান উন্নত হচ্ছে না। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসলেও মূল্যবোধের সমৃদ্ধি আসছে না। ফলে সামাজিক অবক্ষয় তৈরি হচ্ছে। এই অবক্ষয় রোধে ইমামদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
গতকাল সোমবার নগরীর ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ১১১১তম ব্যাচের ৪৫দিন ব্যাপী ইমাম প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সৈয়দ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের চার জেলাসহ কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নির্বাচিত একশো ইমাম অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রশিক্ষণার্থী ইমাম মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মাওলানা আহমদ আল মনজুর, মাওলানা জমির উদ্দিন, মাওলানা কামাল উদ্দিন, মাওলানা আল আমীন, মাওলানা মনোয়ার হোসেন মান্না ও ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের কম্পিউটার প্রশিক্ষক মুবনুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. কুতুব উদ্দিন আরও বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে মধ্যপন্থার সহনশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতির পেছনে বড় অবদান হলো ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষিত ইমামদের। এই মিশনকে আগামীতে আরও এগিয়ে নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের চার লাখ মসজিদে প্রায় নয় লাখ ইমাম মুয়াজ্জিন ও খাদেম রয়েছেন। কাজ করার মতো এটি একটি বড় সেক্টর। সরকার ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট করেছে। বর্তমানে এই ট্রাস্টে ৯০ কোটি টাকা রয়েছে। আমরা প্রস্তাবনা রাখছি ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টকে ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ব্যাংকে রূপ দেওয়া হোক। এটা করলে চার লাখ মসজিদের চার লাখ একাউন্ট হয়ে যাবে। ইমাম মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা মিলে আরো নয় লাখ একাউন্ট হয়ে গেলে সহজেই একটি ব্যাংক রান করতে পারবে। এর ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রæত ইমামদের সম্মানী ভাতা ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা এই ব্যাংকের মাধ্যমে সহজেই প্রদান করা সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা সাইদুর রহমান। মোনাজাত পরিচালনা করেন উপপরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।