অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান নুনুসহ ৪ জনের নামে মামলা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ আগস্ট ২০২৩, ২:৫৮:৪৪ অপরাহ্ন

বিশ^নাথ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সরকারি বরাদ্দের বাথরুমসহ ডিপ টিউবওয়েল (ওয়াশব্লক) ও কালভার্টের প্রলোভন দেখিয়ে চার লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সিলেটের বিশ^নাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য নুনু মিয়াসহ ৪ জনের নামে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী। বাদীপক্ষের আইনজীবী অঞ্জন দে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওইদিন সকালে বিশ^নাথ ৩নং আমলী আদালতের বিচারক দিলরুবা ইয়াসমিনের কাছে মামলাটি দায়ের করেন বিশ^নাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তেঘরি গ্রামের মৃত মখন মিয়ার ছেলে মো. জামাল আহমদ। আদালত মামলা গ্রহণ করেছেন। এ মামলায় ১৬ জন সাক্ষী রয়েছেন।
মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন-উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী, বিশ^নাথ পৌরসভার মিয়াজানেরগাঁও গ্রামের মৃত সজিদ মিয়ার ছেলে এবং পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ও দৌলতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দবির মিয়া, তার মা সফুল বিবি ও সুহেল শিকদার নামের এক ব্যক্তি। মামলায় জামাল আহমদ উল্লেখ করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচিত দবির মিয়া তাকে জানান, উপজেলায় বাথরুমসহ ডিপ টিউবওয়েল (ওয়াশব্লক) ও কালভার্টের জন্য বরাদ্দ আছে। ৩০ হাজার টাকা করে ফি দিলে যতটি ইচ্ছে বরাদ্দ নিতে পারবেন। তাদের আশ্বাসে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা সংগ্রহ করেন। পরে বিভিন্ন সময়ে তিনি নুনু মিয়া, দবির মিয়াসহ তাদের লোকদের ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও ওয়াশব্লক ও কালভার্ট না পেয়ে একপর্যায়ে নুনু মিয়ার কাছে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে তার ব্যক্তিগত সহকারী দবির মিয়া চলতি বছরের ২৯ জুন তার বাড়ি থেকে গিয়ে টাকা আনতে বলেন।
সে সময় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার একটি চেক দেন-যা দিয়ে টাকা উত্তোলন করা যায়নি। বর্তমানে টাকা ফেরত চাইতে গেলেই অভিযুক্তরা নানাভাবে হত্যার হুমকি এমনকি লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। ওয়াশব্লকের জায়গা পরিদর্শনকারী অভিযুক্ত সুহেল শিকদার জানান, ‘আমি ঠিকাদার হিসেবে ওইখানে গিয়েছিলাম। কোনো টাকা নিইনি। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া ও তার ব্যক্তিগত সহকারী দবির মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।