মাধবপুরে পাহাড়ে রাখাল বাবুল হত্যার রহস্য উদঘাটন ॥ ঘাতকের স্বীকারোক্তি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ৪:৩৫:১৪ অপরাহ্ন

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর রঘুনন্দন পাহাড়ে রাখাল বাবুল মিয়া (৪৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। গরু চুরি করে নিয়ে যেতে একদল দুর্বৃত্ত গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে নির্জন পাহাড়ের দু’টি গাছের মধ্যে তার লাশ ফেলে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক লাল মিয়া আদালতে হত্যার স্বীকারোক্তি দিলে রহস্যের জট খুলে।
গত বুধবার দুপুরে মাধবপুর-চুনারুঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মাধবপুর থানার ওসি রকিবুল ইসলাম খাঁনসহ একদল পুলিশ চুনারুঘাট উপজেলার কালীনগর গ্রামের লাল মিয়া (৪৫) নামে এক দূর্বৃত্তকে গ্রেফতারের পর বাবুল হত্যার রহস্যের জট খুলে। লাল মিয়া চুনারুঘাট উপজেলার কালীনগর গ্রামের মৃত চেরাগ আলীর ছেলে।
জানা গেছে, মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ইটাখোলা গ্রামের মৃত ছায়েব আলী সর্দারের ছেলে বাবুল মিয়া গত ১৫ জুলাই সকালে রঘুনন্দন পাহাড় এলাকায় প্রতিদিনের মত গরু চড়াতে যান। কিন্তু বেলা শেষে গরুগুলো ফিরে আসলেও বাবুল মিয়া ফিরে আসেননি। পরে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী মাধবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। পরে ১৮ জুলাই স্থানীয় লোকজন গহীন পাহাড় এলাকায় বরুরা নামক স্থানে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে এবং লাশটি বাবুল মিয়ার বলে শনাক্ত হয়।
এরপর হবিগঞ্জের এসপি এসএম মুরাদ আলী হত্যার রহস্য উদঘাটনে দিক নির্দেশনা দিলে মাধবপুর থানা পুলিশ কাজ শুরু করে। গত বুধবার দুপুরে লাল মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই দ্বীন মোহাম্মদ আদালতে হাজির করে।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালতে হত্যার সাথে জড়িত স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করে লাল মিয়া।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী আজ শুক্রবার তার কার্যালয়ে এ ব্যাপারে একটি প্রেসব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী।