দোয়ারার তিন খেয়াঘাটে নেই সিঁড়ি ও যাত্রীছাউনি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ৪:২৬:৪৯ অপরাহ্ন
যাত্রী ও মালামাল পারাপারে দুর্ভোগ চরমে
তাজুল ইসলাম, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) থেকে ঃ দোয়ারাবাজার উপজেলা সদর, আজমপুর ও আমবাড়ী খেয়াঘাটে পাকা সিঁড়ি ও যাত্রীছাউনি না থাকায় পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ফলে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বিপুল সংখ্যক মানুষকে প্রতিদিন রোদ-বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগ নিয়ে নদী পাড়ি দিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। আজমপুর খেয়া ঘাটে একমাত্র যাত্রীছাউনির সিঁড়িটিও ভেঙে গিয়ে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ৩টি খেয়াঘাট থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করলেও ঘাটের উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার তিনটি খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন অন্তত পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল পারাপার হচ্ছে। প্রতিবছর এসব খেয়াঘাট হতে ইজারা বাবদ মোটা অংকের রাজস্ব আদায় করছে সরকার। অথচ যাত্রী ভোগান্তি কমিয়ে আনতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। খেয়াপাড়ে পাকা সিঁড়িঘাট না থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। যাত্রীছাউনি না থাকায় গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে নিরাপদে দাঁড়ানোর জায়গাটুকু পর্যন্ত থাকে না বলে অভিযোগ করেন তারা।
সরেজমিনে আজমপুর খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নৌকা থেকে নদীর পাড়ে উঠতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন লোকজন। খেয়া নৌকায় মালামাল ও মোটরসাইকেল নিয়ে ওঠানামা করতে চরম ভোগান্তি এবং বিপজ্জনক অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন যাত্রীরা। রোগী, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশুসহ বৃদ্ধ মানুষ নদী পারাপারে অসহ্য দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। খেয়াঘাটে কথা হয়, স্থানীয় ইদনপুর গ্রামের বাসিন্দা সামছুদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, উ
পজেলায় ক্ষুদ্র ব্যবসা থাকায় প্রতিদিন দুবার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় এ খেয়াঘাট পাড়ি দিতে হয় তাকে। কলেজ ছাত্র মামুন রহমান বলেন, বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে ভয়ঙ্কর ও বিপজ্জনক হয়ে উঠে ওই খেয়াঘাট। সরকারি ভাবে এখানে একটি যাত্রী ছাউনি ও সিঁড়িঘাট নির্মাণ করা হলে সকলেই উপকৃত হবেন।
দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীমুল ইসলাম শামীম বলেন, স্থানীয় লোকজন এসব খেয়াঘাটে নিজ উদ্যোগে মাটি কেটে যানবাহন ও যাত্রী ওঠানামার ব্যবস্থা করছেন। খেয়াঘাট দিয়ে ওঠানামা করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। খোয়াঘাটে যাত্রী পারাপারে দুর্ভোগ লাঘবে উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান তানভির আল আশরাফি চৌধুরী বাবু বলেন, প্রতিবছর সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব পেলেও খেয়াঘাট গুলোর উন্নতি না হওয়াটা দুঃখজনক। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।