সহিংসতার শিকার শিশু
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ১:৪৬:১৮ অপরাহ্ন
অহংকার এমন এক আবরণ যা মানুষের সকল মহত্ব আবৃত করে ফেলে।- জাহাবি
সহিংসতার শিকার হচ্ছে শিশু।সমাজের অসভ্য মানুষগুলোর হিংস্রতার শিকার হচ্ছে নিষ্পাপ শিশুরা।এই অপরাধ যেন থামানো যাচ্ছে না কিছুতেই।একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপে বলা হয়,চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে ২৯২ জন শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭ জনকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়।একই সময়ে বিপুল সংখ্যক নারী সহিংসতার শিকার হয়েছে।
নানা ধরণের সহিংসতার শিকার হচ্ছে শিশুরা।এর মধ্যে রয়েছে খুন, ধর্ষণ,নির্যাতন ইত্যাদি।জানা গেছে,২০২১ সালে ১৮৩টি শিশু হত্যার ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯৭টি।এর বাইরে সড়ক দুর্ঘটনা, অন্যান্য দুর্ঘটনা, অপহরণ, নির্যাতন, আত্মহত্যা, অপরাধে সংশ্লিষ্ট শিশু, নিখোঁজ ও পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।২০২২ সালে পানিতে ডুবে এক হাজার ৪১৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যা ২০২১ সালের তুলনায় তিন গুণের বেশি। এ ছাড়া একই বছরে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হওয়া শিশু মারা যায় ১৯৬টি।অর্থাৎ ১২টি ক্ষেত্রে ২০২১ সালে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ছিলো দুই হাজার ৪২৬টি। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় তিন হাজার ৯৪।এ ছাড়া ২০২১ সালে বাল্যবিবাহের শিকার হয় ৪১ হাজার ৯৫টি শিশু। ২০২২ সালে এ সংখ্যা দুই হাজার ৩০১।উল্লিখিত প্রতিবেদন অনুযায়ি চলতি বছর প্রথম সাত মাসে ৬১৮ জন শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৪টি ধর্ষণের ঘটনা। এ সময়ে ৩৫৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৫ জনকে।এ তো পরিসংখ্যানের কথা।এর বাইরে অনেক শিশু নির্যাতন, খুন,গুমের শিকার হচ্ছে। যাদের কথা মিডিয়ায় আসছে না। হচ্ছে না মামলা-মোকদ্দমাও। যে কারণে এইসব ঘটনা আসছে না কোন পরিসংখ্যানে।
শিশু ও নারী সহিংসতা প্রতিরোধে দরকার পরিবার ও সমাজের সচেতনতা। এই অপরাধে জড়িতদের আনতে হবে আইনের আওতায়। এর জন্য প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধ কঠোরভাবে দমনের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রণয়ন করা হয় ২০০০ সালে। আইনটি ২০০৩ সালে সংশোধন করা হয়।এর পাশাপাশি শিশু সুরক্ষায় সমাজকর্মি নিয়োগ দেয়াসহ স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার ঠেকাতে হবে।এটা মনে রাখতে হবে যে,নির্যাতনের শিকার শিশুর মনে গভীরভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ওই শিশু আর বিকশিত হতে পারে না।