৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি থাকলে সরকার নিয়ে নেবে, আইন লঙ্ঘনে শাস্তি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ আগস্ট ২০২৩, ৩:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : কোনো ব্যক্তির ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমির মালিকানা থাকলে অতিরিক্ত অংশ সরকার নিয়ে নেবে। তবে, বিশেষ ক্ষেত্রে এটি শিথিলযোগ্য করা হয়েছে।
অপর দিকে, আইন লঙ্ঘনে লাখ টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদ-ের বিধান রেখে ভূমি সংস্কার আইন-২০২৩ প্রণয়ন করেছে সরকার।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সামরিক শাসনের আমলে ১৯৮৪ সালে ল্যান্ড রিফর্ম অধ্যাদেশ ছিল। সেটি বাতিল করে ভূমি সংস্কার আইন করা হচ্ছে। আগের ধারাগুলো পরিবর্তন করে বা কয়েকটি হালনাগাদ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগের আইনে ৬০ বিঘার বেশি কেউ কৃষি জমির মালিক থাকতে পারবে না। নতুন আইনেও তা বহাল রাখা হয়েছে। তবে নতুন আইনে বিশেষ ক্ষেত্রে এটি শিথিলযোগ্য করা হয়েছে। সে বিষয়গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।
যারা ৬০ বিঘার অনেক বেশি সম্পত্তির মালিক, তাদের ক্ষেত্রে এখন কী হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মাহবুব হোসেন বলেন, যদি এ রকম কেউ থাকে এবং যদি কেউ সে আইনের আওতায় মামলা করেন তাহলে নতুন আইনে শাস্তির বিধান আছে।
তাদের কীভাবে চিহ্নিত করা হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনে সে বিষয় বলা থাকে না। আইনে বলা আছে, যদি কেউ ৬০ বিঘার বেশি জমি নতুন করে কেনেন। তখন ওই অংশটা সরকারের নজরে এলে সেটা সরকার নিয়ে নিতে পারবে। আইনে যে ধারাটা সংযোজন করা হয়েছে সেটা হলো ৬০ বিঘার অধিক নতুন করে কোনো মালিকানা নিতে পারবেন না। ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি থাকলে নতুন করে আর মালিকানা নিতে পারবেন না। সেটা উত্তরাধিকার সূত্রে হোক বা নিজের কেনা হোক।’
৬০ বিঘার বেশি জমির মালিকানার ক্ষেত্রে কিছু শিথিলতা আনার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নতুন আইনে বলা হয়েছে, কোনো সমবায় সমিতির সব সদস্য তাদের জমির মালিকানা যদি সমিতি অনুমতি দেয় তখন সেটি হতে পারে। চা, কফি, রাবার বা অন্য কোনো ফলের বাগানের জন্য ব্যবহƒত জমির জন্য এটা প্রযোজ্য হবে না। কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব কারখানায় ব্যবহƒত কাঁচামাল উৎপাদনের জন্য কোনো ভূমি ব্যবহার করতে চাইলে তখন এটা প্রযোজ্য হবে না। এ ছাড়া রপ্তানিমুখী শিল্প, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে যদি প্রয়োজন হয়, তখন এটি প্রযোজ্য হবে না। ওয়াক্ফ, দেবোত্তর বা ধর্মীয় ট্রাস্টের ক্ষেত্রে সেটির মালিকানাধীন ভূমির আয় ধর্মীয় কাজে ব্যবহার হয় এ কয়টি বিষয় সংযোজন করা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন ও তথ্যভান্ডার সংরক্ষণের একটা নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে। যেটি আসলে আগের আইনে ছিল না। আর একটি বিষয় যোগ করা হয়েছে সেটি হলো আগের আইনে ছিল ভূমি ব্যবস্থাপনার কোনো আইন ভঙ্গ করলে দুই হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল। নতুন আইনে সেখানে এক লাখ টাকা বা এক মাস বিনাশ্রম কারাদ- অথবা উভয় দ-ে দ-িত হবেন।’