ব্রিটেনে ব্যারিস্টার নাজির আহমদের ফার্ম ‘ইমিগ্রেশন ল ফার্ম অব দ্য ইয়ার’ সম্মাননায় ভূষিত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১১:২৭:৫৪ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : আইনি সেবায় ব্যতিক্রমধর্মী অবদান রাখায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ল ফার্ম ‘লিংকন্স চ্যাম্বারস সলিসিটরস’ ÒImmigration Law Firm of the Year” ২০২৩/২৪ এ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছে। গত ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় গিলফোর্ডের ওয়াকিং শহরে এক অভিজাত হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। সাথে দেয়া হয় ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও ওয়াল প্লাগ। এ উপলক্ষে প্রেস্টিজিয়াস ম্যাগাজিনে ব্যারিস্টার নাজির আহমদ ও তার ফার্মের উপর দুই পৃষ্ঠার বায়োগ্রাফি ও বিবরণ ছাপা হয়।
সিলেকশন প্রসেসের মাধ্যমে মেইনস্ট্রিম এওয়ার্ড কমিটি Lincoln’s Chambers Solicitors’K Immigration Law Firm of the Year এই সম্মাননা পাবার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বলেন, ‘এই স্বীকৃতি আমার দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতাকে আরও বাড়িয়ে দিল।’ তিনি আরো বলেন ‘যে কোন আবেদন বা মামলার গুণগত মানের ব্যাপারে যথাযথ, আইনগত ও সঠিক পরামর্শদেয়ার চেষ্টা করেছি।
এই সম্মাননা আইনের জগতে আরো বেশি কাজ করতে আমাকে নিঃসন্দেহে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে।’
বিলেত প্রবাসী ব্যারিস্টার নাজির আহমদ ব্রিটেন তথা ইউরোপের সুপরিচিত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও লব্ধপ্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলাধীন দৌলতপুর ইউনিয়নের বাহারা দুবাগ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম।
ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন। বাংলাদেশ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করে নব্বই দশকের গোড়ার দিকে বিলেত পাড়ি জমান। তিনি লন্ডন ইউনিভার্সিটির কুইনমেরী থেকে এলএলবি (অনার্স) ও একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রি কৃতিত্বের সাথে অর্জন করেন। পরে বিশ্বখ্যাত লিংকন্সইন থেকে ১৯৯৯ সালে কৃতিত্বের সাথে বার-এট-ল ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন এডভোকেট । এছাড়াও তিনি ব্রিটেনের স্বনামধন্য চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব্ আরবিট্রেটরস্-এর একজন ফেলো। তিনি লন্ডন ইউনিভার্সিটির এলোমনাই এ্যামবেসেডর ও লন্ডন মেয়র অফিসের ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাস্টডি ভিজিটর ছিলেন।
ব্যারিস্টার নাজির আহমদ একজন লেখক ও বিশ্লেষক। তিনি বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিকে সংবিধান, আইন ও সমসাময়িক বিষয়ের উপর লিখে থাকেন। এ পর্যন্ত তার বাংলা ও ইংরেজিতে ছয়টি বই বের হয়েছে।
তিনি লন্ডন বারা অব নিউহ্যামের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং টানা তিনটার্মের নির্বাচিত ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। বিভিন্ন প্রয়োজনে তিনি এ পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় ৫৫টি দেশ সফর করেছেন।