ভারতে অসুস্থ শিশুকে নিয়ে বিপাকে বাংলাদেশি দম্পতি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১১:৫৪:৩১ অপরাহ্ন
![ভারতে অসুস্থ শিশুকে নিয়ে বিপাকে বাংলাদেশি দম্পতি ভারতে অসুস্থ শিশুকে নিয়ে বিপাকে বাংলাদেশি দম্পতি](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2023/08/P-5-24.jpg)
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও হৃদয়বানদের সহযোগিতা কামনা
স্টাফ রিপোর্টার : ভারতে ২ বছর বয়সী একটি শিশুর চিকিৎসা করাতে গিয়ে অর্থাভাবে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি এক দম্পতি। এ অবস্থায় ওই দম্পতি শিশুটির চিকিৎসা করানো এমনকি তাকে দেশে আসা নিয়ে অনেকটাই শঙ্কিত। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে তারা বাংলাদেশ সরকার এবং হৃদয়বানদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
ভারতের প্রভাবশালী সংবাদপত্র হিন্দুস্থান টাইমস ও ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার বেঙ্গালুরু-দিল্লি ‘ভিস্তারা এয়ার’ এর ফ্লাইটে সেখানকার প্রখ্যাত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান অওওগঝ-দিল্লির পাঁচজন চিকিৎসকের একটি দল ইন্ডিয়ান সোসাইটি ফর ভাস্কুলার অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজি (ওঝঠওজ)-তে যোগদানশেষে দিল্লি ফিরছিলেন। ঐ একই বিমানে ফিরছিল সিলেটের ট্রাস্ট মেডিকেল’র জেনারেল ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন ও মুহিবুর রহমান একাডেমির শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার শিমু দম্পতির ২ বছর বয়সী শিশু রুবাবা।
সেখানকার প্রখ্যাত নারায়ণা হাসপাতালে হার্টের বাইপাস সার্জারি করে ব্যাঙ্গালুরু থেকে দিল্লী যাওয়ার পথে বিমান উড্ডয়নের সময় রুবাবার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। সারা শরীর নীল রং ধারণ করে। ভাগ্যিস ঐ ফ্লাইটে উল্লেখিত ডাক্তাররা ছিলেন। তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় মৃত্যুর হাত থেকে আপাতত বেঁচে যায় শিশুটি।
অওওগঝ-দিল্লি তাদের টুইটার পেইজে জানায়, তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটিকে পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে শিশুটির পালস পাওয়া যাচ্ছিল না, তার হাত-পা ঠান্ডা ছিল এবং শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ ছিল। সাথে সাথে সেখানে থাকা ডাক্তাররা সিপিআর চালু করেন। তারা তাদের দক্ষতা দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন শিশুটিকে বাঁচাবার। পরে ডাক্তারদের পরামর্শে ভিস্তারা টক-৮১৪ ফ্লাইটটি নাগপুর এয়ারপোর্টে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করা হয়।
সেখান থেকে শিশু রুবাবাকে এম্বুলেন্স দিয়ে নাগপুরের কিংস ওয়ে হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের কাছে হস্তান্তর করেন তারা।
শিশুটির মা নাসরিন আক্তার শিমু জানান, সে এখন নাগপুরের কিংস ওয়ে হাসপাতালে আই.সি.ইউ-তে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার মস্তিষ্ক এখনও কাজ করছে না। চিকিৎসকরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, নারায়ণা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তারা অনেকটাই সর্বস্বান্ত। সেখানকার চিকিৎসকদের ছাড়পত্র নিয়েই শিশুটিকে নিয়ে তার বাবা-মা বিমানযোগে তাকে নিয়ে দেশের উদ্দেশে উড়াল দেন। কিন্তু, বিমানে শিশুটির শরীর খারাপ হওয়ায় তারা অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন।
পারিবারিক সূত্র মতে, পরিবারটির আর্থিক অবস্থা সংকটাপন্ন। নাগপুরের ওই হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ টাকার মতো বিল আসছে। এ অবস্থায় শিশুটির চিকিৎসার খরচ চালানো ওই পরিবারের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। শিশুটির বাবা-মা ও পরিবার-এই সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন। পাশাপাশি ছোট্ট বাচ্চাটির জীবন বাঁচাতে তারা নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন। শিশুটির বাবা-মা বর্তমানে ইন্ডিয়ার নাগপুরে অবস্থিত ‘কিংস ওয়ে’ হাসপাতালে অবস্থান করছেন। হৃদয়বানরা চাইলে শিশুটির বাবা-মা’র নি¤েœাক্ত ব্যাংক একাউন্টে আর্থিক সহযোগিতা করতে পারেন।
MD ANWARUL HAQ, A/C – 0921510003469, Eastern Bank Ltd. EBL Ges NASRIN AKTHER, A/C – 092151000 3478, Eastern Bank Ltd. EBL.