যানবাহনের কালো ধোঁয়া
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ১:৫৩:০১ অপরাহ্ন
ভুল-ভ্রান্তি নিয়েই মানুষের জীবন। সেই ভুলকে প্রাধান্য দিয়ে বাকি জীবনে অশান্তি ডেকে আনার কোন মানে হয় না। -লাওসে
বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ যানবাহনের কালো ধোঁয়া। কোন অবস্থাতেই এই ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বরং কালো ধোঁয়া নির্গমণকারি যানবাহনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এতে বাড়ছে বায়ুদূষণের মাত্রা। অথচ যানবাহনের কালো ধোঁয়া জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ধোঁয়া নির্গত হলে তা জরিমানাসহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আমরা নিঃশ্বাসে যে বায়ু নিচ্ছি, সেটা কতোটুকু নির্মল আমরা জানিনা। বাতাসে আছে জনস্বস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অনেক পদার্থ; যা খালি চোখে দেখা যায় না। আর এই বায়ুদূষণের জন্য অনেকটাই দায়ি যানবাহনের কালো ধোঁয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাতাসকে দূষণে ভারি করে তুলছে যানবাহনের ধোঁয়া। বায়ুদূষণের জন্য এখন ৫০ ভাগ দায়ি মূলত তরল জ্বালানি পোড়ানোর মাধ্যমে তৈরি হওয়া এই ধোঁয়া। আর এই তালিকায় আছে বাস, লেগুনা, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রোবাস। বিশেষ করে, মেয়াদোত্তির্ণ যানবাহন থেকেই বের হচ্ছে কালো ধোঁয়া। আর বিআরটিএ’র হিসাব অনুযায়ী, দেশে মেয়াদোত্তির্ণ গাড়ির সংখ্যা চার লাখ ৮১ হাজারের বেশি। যেগুলো থেকে কালো বিষাক্ত ধোঁয়া বের হয়। ফিটনেসবিহীন গাড়ি থেকে যে কালো ধোঁয়া বের হয়, তার সুক্ষ্ম কণা বাতাসে মিশে তৈরি করছে কালো কার্বন, যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ফিটনেসবিহীন গাড়ির কালো ধোঁয়া ও নির্মাণকাজ থেকে প্রচুর ধুলা বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। যা নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে ঢুকছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, মাত্রার চেয়ে বেশি কালো ধোঁয়া ছড়ায় যেসব যানবাহন, তা জব্দ করাসহ বায়ুদূষণ রোধে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি নয় দফা নির্দেশনা দেন উচ্চ আদালত।
বিভিন্ন সময় ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে বিআরটিএ। তবে প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কারণে কালো ধোঁয়া নির্গমণকারি গাড়ি চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না। জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও এই ধরণের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অপরদিকে গাড়ির কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের একটা বড় দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশের। ট্রাফিক পুলিশের সামনে দিয়েই কালো ধোঁয়া নির্গমনকারি গাড়িগুলো চলে যাচ্ছে। কেউ কিছু বলছেনা।