জি কে গউছ ২ দিনের রিমান্ডে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ আগস্ট ২০২৩, ১:০১:৫৭ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র জি কে গউছকে গ্রেফতার দেখিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গত মঙ্গলবার কাকরাইল এলাকা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
গতকাল বুধবার তাকে হবিগঞ্জে দায়েরকৃত ২০১৫ সালের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত শুনানি শেষে তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার আসামীপক্ষের আইনজীবী সামছুল ইসলাম।
তিনি জানান, ২০১৫ সালে জি কে গউছ হবিগঞ্জ কারাগারে থাকা অবস্থায় ইলিয়াছ নামে এক বন্দি ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে তার উপর হামলা করে। এতে গউছ গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার পর পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় জি কে গউছের বিরুদ্ধে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবু জাহিরকে হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি আমলে না নিয়ে আদালত তদন্তের জন্য সদর মডেল থানায় প্রেরণ করেন।
তিনি বলেন, বিগত ৮ বছরেও মামলার তদন্তই শেষ হয়নি। অথচ এ মামলায় হঠাৎ করেই তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রাকালে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও এতে গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে জি কে গউছকে প্রধান আসামী করে ৭’শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট পুলিশ এসল্ট ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করে। মামলায় মঙ্গলবার জি কে গউছসহ হবিগঞ্জের ১৮৩ জন নেতাকর্মী হাইকোর্টে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। জামিন নিয়ে সন্ধ্যায় তিনি হাইকোর্ট থেকে বের হন। এরপরই কাকরাইল এলাকা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৮ জুলাই পবিত্র ঈদ উল ফিতরের দিন হবিগঞ্জ কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় জি কে গউছকে ছুরিকাঘাত করে ইলিয়াছ নামে এক হাজতি। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ কারাগারের তৎকালীন জেলার মো. শামীম ইকবাল বাদি হয়ে হামলাকারী ইলিয়াছকে একমাত্র আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার তৎকালীন এসআই সাহিদ মিয়া। ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত ২০ জুলাই হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল আলীম আসামী ইলিয়াছকে দেড় বছরের কারাদন্ড দেন। ইলিয়াছ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দাউদনগর গ্রামের সালেহ আহাম্মদ কনার ছেলে।
একই ঘটনায় সদর থানার এসআই সানা উল্লাহ বাদি হয়ে জি কে গউছকে প্রধান আসামী করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবু জাহিরকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়।