রণকৌশলী ওসমানী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৪:২৯:৫৫ অপরাহ্ন
মো. জয়িারত হোসনে খান
বাংলাদশেরে মহান মুক্তযিুদ্ধরে প্রধান সনোপতি বঙ্গবীর এমএজি ওসমানী ছলিনে আজীবন গণতন্ত্রী, র্ধামকি ও খাঁটি দশেপ্রমেকি। আমাদরে স্বাধীনতা যুদ্ধে যমেন, তমেনি স্বাধীন দশেওে জাতরি দুঃসময়ে কান্ডারী হসিবেে আবর্ভিূত হয়ছেনে। ১৯৪৭ সালে ভারত বভিাগরে পর তনিি পাকস্তিান সনোবাহনিীতে যোগদান করনে। এ সময় তার পদর্মযাদা ছলিো ল্যাফটন্যোন্ট র্কণলে। ১৯৫৬ সালে র্কণলে পদে পদোন্নতি লাভ করনে। ইপআির প্রতষ্ঠিায় রয়ছেে তার বশিাল অবদান। তারই ধারাবাহকিতায় একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধ পরচিালনায় গুরুদায়ত্বি র্অপতি হয় তার ওপর।
১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে তনিি দু’বার জাতীয় পরষিদ সদস্য নর্বিাচতি হন। একাত্তররে মুক্তযিুদ্ধ চলাকালে ধোপাদীঘরি পাড়রে বঙ্গবীর ওসমানীর এ পতৈৃক বাড়টিি পাকস্তিান হানাদার বাহনিী ডনিামাইট দয়িে উড়য়িে দয়িছেলি। পরর্বতী সময়ে যুদ্ধ শষেে তনিি নজি উদ্যোগে বাংলো টাইপ ঘর নর্মিাণ করনে সখোন।ে ১৯৭৬ সালরে ১৮মে বাড়রি ২ বঘিা জায়গা দয়িে তনিি তাঁর বাবা-মার নামে গঠণ করনে ‘জুবদো খাতুন খান বাহাদুর মফজিুর রহমান ট্রাস্ট’। এ ট্রাস্টরে মাধ্যমে মডেকিলে ছাত্রছাত্রীদরে প্রতবিছর একটি নর্দিষ্টি ক্যাটাগরতিে বৃত্তি প্রদানরে ব্যবস্থা নয়ো হয়। একই সঙ্গে ঢাকার ধানমন্ডরি রোড ১০-এ, বাড়ি নং ৮২-এর সুুন্দনবন নামক ওসমানীর নজিস্ব বাড়রি সম্পত্তি দয়িে র্আতমানবতার সবোর লক্ষ্যে গঠন করা হয় ‘ওসমানী মমেোরয়িাল ট্রাস্ট’।
বঙ্গবীর ওসমানীর মৃত্যুর পর ১৯৮৭ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার সলিটেে ওসমানীর নামে একটি জাদুঘর প্রতষ্ঠিার আগ্রহ প্রকাশ করনে। সে অনুযায়ী জুবদো খাতুন-খান বাহাদুর মফজিুর রহমান ট্রাস্টরে কাছ থকেে ৫ লক্ষ টাকার বনিমিয়ে ৯৯ বছররে জন্য ধোপাদীঘরি পাড়রে বাড়টিি লজি নয়ে সরকার। ১৯৮৭ সালরে ৪ র্মাচ এ বাড়তিে ওসমানী জাদুঘররে আনুষ্ঠানকি উদ্বোধন করনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসইেন মুহম্মদ এরশাদ। সইে থকেে সাংস্কৃতি সন্ত্রণালয়রে অধীনে জাতীয় জাদুঘররে একটি প্রতষ্ঠিান হসিবেে পরচিালতি হয়ে আসছে এট।ি
ওসমানীর পতিৃপুরুষরে বাড়ি সলিটে জলোর বালাগঞ্জ থানার (র্বতমানে ওসমানী নগর থানা) দয়ামীর।ে তাঁর জতিা খান বাহাদুর মফজিুর রহমানরে দুই ছলেে ও এক ময়েরে মধ্যে সবার ছোট ছলেে ওসমানী। তাঁর রাজনতৈকি জীবনরে সূচনা ১৯৭০ সাল।ে এ বছর তনিি আওয়ামী লীগে যোগদান করনে। আওয়ামী লীগ র্প্রাথী হসিবেে ৭০-এর নর্বিাচনে ফঞ্চেুগঞ্জ-বালাগঞ্জ-বশ্বিনাথ ও গোলাপগঞ্জ এলাকা থকেে পাকস্তিান জাতীয় পরষিদরে সদস্য নর্বিাচতি হন। মুক্তযিুদ্ধ শুরু হলে ওসমানী সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবশে করনে। ১১এপ্রলি (১৯৭১) প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দনি আহমদ স্বাধীন বাংলা বতোর কন্দ্রেে ভাষণ দনে। ঐ ভাষণে তনিি বাংলাদশে সনোবাহনিীর অবকাঠামো গঠনরে কথা উল্লখে করে এমএজি ওসমানীকে বাংলাদশে সনোবাহনিীর প্রধান সনোপতি হসিবেে ঘোষণা দনে। ১৯৭১ সালরে ১৭ এপ্রলি গঠতি হয় মুজবিনগর সরকার, ওসমানীকে করা হয় মুক্তবিাহনিীর প্রধান সনোপত।ি মুক্তরি সংগ্রামে ওসমানীর হাতে কোনো নৌবাহনিী ছলি না। তনিি একটি নৌ-কমান্ডো বাহনিী গঠন করনে। আগস্টরে মাঝামাঝতিে তারা নদীপথে শত্রুর চলাচল প্রায় রুদ্ধ করে দনে। নৌবাহনিী গঠনরে ফলে একটা বড় ধরণরে সংকটরে অবসান হলওে একটা সঙ্কট অনুভব করনে ওসমানী। সটো হচ্ছে তার হাতে কোনো বমিান ছলি না। শষেরে দকিে ছোট্ট একটি বমিানবাহনিীও গঠন করছেলিনে তনি।ি
পাকস্তিানী বাহনিী ১৬ ডসিম্বের ১৯৭১ সালে মুক্তবিাহনিী ও ভারতীয় সামরকি বাহনিীর যৌথ কমান্ডরে কাছে আত্মসর্মপণ কর।ে বাংলাদশে স্বাধীন হয়। এই আত্মসর্মপণ অনুষ্ঠানে ভারতরে পক্ষ থকেে উপস্থতি ছলিনে ভারতীয় সনোবাহনিীর র্পূব ফ্রন্টরে অধনিায়ক ল.ে জনোরলে জগজৎি সংি অরোরা। অন্যদকিে পাকস্তিানরে পক্ষে উপস্থতি ছলিনে পাকস্তিান সনোবাহনিীর র্পূব ফ্রন্টরে প্রধান ল.ে জনোরলে নয়িাজী। এরা দু-জনইে ছলিনে আঞ্চলকি প্রধান। অন্যদকিে ওসমানী ছলিনে বাংলাদশে সনোবাহনিীর প্রধান। তাই সনোবাহনিীর প্রটোকল রর্ক্ষাথে কোন সনোবাহনিীর আঞ্চলকি প্রধানরে সাথে তনিি কোন অনুষ্ঠানে উপস্থতি হতে পারে না। ওসমানী নজিইে এ বর্তিকরে জবাব দয়িে গছেনে।
পাকস্তিানি সনোবাহনিীতে ওসমানী ছলিনে একজন আর্দশ, সৎ চরত্রি ও নষ্ঠিাবান সনৈকি। ইষ্ট বঙ্গেল রজেমিন্টেরে সংখ্যা ছয়টতিে বৃদ্ধসিহ সনোবাহনিীতে বাঙালী সংখ্যা ২ থকেে ১০ এর অধকি করা এবং বাঙালীদরে জন্যে নর্দিষ্টি সংখ্যা অনুপাত কমশিন ও অফসিার পদসহ র্সবস্তরে বাঙালী সনিয়িরদরে জন্য পদ সংরক্ষণ করনে। তনিি কাজী নজরুল ইসলামরে কবতিা ‘চল চল চল’ কে পাকস্তিান ইস্ট বঙ্গেল রজেমিন্টেরে র্মাচ সঙ্গীত হসিাবে অনুমোদন লাভে সফল হন। এ ছাড়া পাকস্তিান সামরকি বাদ্যযন্ত্রে সরকারীভাবে ‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা’ ও ‘গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙ্গামাটরি পথ’ বাংলা গান প্রচলন হয় তার ঐকান্তকি প্রচষ্টায়। বঙ্গেল রজেমিন্টে তাঁর নরিলস প্রচষ্টোয় গড়ে উঠছেলি। এজন্যে তাকে ঋধঃযবৎ ড়ভ ঃযব ৎবমরসবহঃ বলা হয়।
লখেক : সহকারী কীপার, ওসমানী জাদুঘর, সলিটে।