জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪৬:২৪ অপরাহ্ন
ভুল বা অন্যায় করে যে অস্বীকার করে না বা তার জন্য অনুতপ্ত হয় না-তাকে কখনও ক্ষমা করা যায় না। -ইয়ং
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে সরকার। আর এই লক্ষে হালনাগাদ করা হচ্ছে জনসংখ্যা নীতি। ২০১২ সালে শেষ হালনাগাদ করা হয় এই নীতি। জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা, নির্ভরশীল মানুষের সুরক্ষা, অঞ্চলভিত্তিক শিল্পায়ন, অভিবাসি শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনে জনসংখ্যার ওপর প্রভাবকে গুরুত্ব দিয়ে হালনাগাদ করা হচ্ছে এই নীতি।
আমাদের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রগতির অন্যতম অন্তরায় ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা। এ দেশে স্বধীনতা পরবর্তীকালে জনসংখ্যা সমস্যাকে এক নম্বর সমস্যা হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। তাই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবার পরিকল্পনার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। প্রনয়ণ করা হয় জনসংখ্যা নীতির রূপরেখা। যার মূলে ছিলো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ। এর আলোকে পরিচালিত হয় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে প্রচারনা। দম্পতিপ্রতি দুইয়ের অধিক সন্তান না নেয়ার নীতি গ্রহণ করা হয়। এতে সফলতাও আসে। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসংখ্যাকে এখন আর নিয়ন্ত্রণের বিষয় হিসেবে দেখলে চলবে না। দেখতে হবে ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিকোণ থেকে। সঠিক ব্যবস্থাপনাই জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করতে পারে। এই বিষয়টা মাথায় রেখে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে জনসংখ্যা নীতি।এই নীতিতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হয়ে জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞগণ বলেন,মানুষ এখন সচেতন। পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত দম্পতির। স্বামী-স্ত্রীকে সন্তান নেওয়ার বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান দিলে তারাই পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করবেন। তাদের মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মক্ষম লোকের সংখ্যা ৬২ শতাংশ। তাই জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনাই গুরুত্বপূর্ণ। সেইসঙ্গে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি এড়িয়ে গেলে চলবে না।কারণ দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উদ্বেগজনক। গবেষকদের মতে, দেশে মিনিটে জন্ম নিচ্ছে চার শিশু। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এক দশমিক ৩৪ শতাংশ। শহরে এই হার প্রায় তিন শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারকারি ৬২ দশমিক চার ভাগ। নারীপ্রতি গড় সন্তান সংখ্যা দুই দশমিক ০৫।
যদিও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়নে ইতোমধ্যেই সফলতার স্বীকৃতি লাভ করেছে বাংলাদেশ, তারপরেও জনসংখ্যাকে একটা টেকসই অবস্থানে নিয়ে আসার বিকল্প নেই। এজন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে ঢিলেমি করা হবে আত্মঘাতি। ভারসাম্যপূর্ণ জনসংখ্যা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ৬৭ ভাগ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠি যাতে দেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ত হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে।