জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক
খানাখন্দের কারণে যাত্রী চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৪:১১:১১ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়ক পথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে জামালগঞ্জের লাখো মানুষ চরম দুর্ভোগ আর দুর্দশা পোহাচ্ছেন। দিরাই রাস্তার মোড়ে কাঠইর নামক রাস্তা থেকে জামালগঞ্জ সদর পর্যন্ত প্রায় ১৯ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা, ভাঙ্গা ও খানাখন্দের কারণে যাত্রী চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ ও দুর্দশা যেন পিছু ছাড়ছেনা
এলাকাবাসী ও পথচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের উন্নয়ন শুনি, কিন্তু জামালগঞ্জের রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হয় না। আমাদের দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। জরুরি কোনো রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা শহরে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। সড়কটি দ্রুত সংস্কার ও মেরামতের দাবি জানান এলাকার সব শ্রেণী পেশার লোকজন।
হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলার অবহেলিত উপজেলা জামালগঞ্জ। এ সরকারের আমলে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও এ উপজেলায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। জেলার সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান সড়কসহ উপজেলার প্রত্যোকটি রাস্তার চিত্রও বেহাল। জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়কে জামালগঞ্জ ছাড়াও ধর্মপাশা, মধ্যনগর ও নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার কিয়দাংশ যাত্রীরাও সিলেট-সুনামগঞ্জে যাতায়াত করছেন ঝুঁকি নিয়ে। এই সড়কের জামালগঞ্জের প্রবেশদ্বার উজ্জ্বলপুর নামক স্থানে ভাঙ্গা সড়কে ও ইট সলিং এর কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই স্থানটি এখন যাত্রীদের মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে। যে কোন মুহুর্তেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন যে কেউ। জামালগঞ্জ থেকে কোন রোগীকে সুনামগঞ্জ কিংবা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে হলে চরম দুর্দশায় পড়তে হয় রোগীর স্বজনদের। স্থানীয় গাড়ি চালক ও যাত্রীরা জানান, এই সড়ক তাদের জীবনের গতিশীলতা কমিয়ে দিয়েছে। চরম দুর্ভোগ আর জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে তাদের।
এ
ব্যাপারে জানতে চাইলে জামালগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো: আব্দুল মালেক বলেন, ২০২২ সালে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এই সড়কের জামালগঞ্জ অংশের জরুরি মেরামতে কিছু কাজ করে যান চলাচলে উপযোগী করে দেয়া হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে পল্লী অবকাঠামো পুন:স্থাপন এর লক্ষ্যে টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ চলছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ করানো হবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জামালগঞ্জ, উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক টিমকে নিয়ে কয়েক দফা পরিদর্শন করেছি। তারা ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা পরিদর্শন করে প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্মতি ও অর্থ যোগানের আশ্বাস দিয়েছেন। এই কাজ বাস্তবায়ন হলে সুনামগঞ্জ-সিলেটের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মাইল ফলক হয়ে থাকবে।