নাশকতার মামলা ফখরুল-রিজভীসহ ৮ জনের বিচার শুরু

শামা ওবায়েদসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

ডাক ডেস্ক : রাজধানীর পল্টন মডেল থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

গতকাল রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যেদিয়ে এই মামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু, কাজী রেজাউল হক বাবু ও খন্দকার এনামুল হক এনাম।

গতকাল মির্জা ফখরুলসহ অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে আসামিপক্ষ তাদের নির্দোষ দাবি করে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রার্থনা করেন।

অন্যদিকে, অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে এ অভিযোগ গঠন করেন আদালত। একইসঙ্গে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন মডেল থানাধীন মিন্টু রোডে মির্জা ফখরুল ও রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের ২০০/২৫০ নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। এ সময় তারা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি ভাঙচুর করেন ও বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গাড়ি চালক মো. আয়নাল।
তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খান।
শামা ওবায়েদসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
এদিকে, রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে ২০১৫ সালে দায়ের করা এক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ও দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হক রোববার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী শিশির হাওলাদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন শিমুল বিশ্বাস আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আদালত মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের মার্চ মাসে রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগ এনে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করে। তদন্ত শেষে ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
শিমুল বিশ্বাসের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, এটি একটি মিথ্যা মামলা। ৮ বছর আগে ২০১৫ সালের মার্চে নাশকতার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেছিল। এ মামলায় শিমুল বিশ্বাস মূল আসামিও নন। তিনি নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, শিমুল বিশ্বাস বর্তমানে অসুস্থ। এ কারণে তার পক্ষ থেকে সময় প্রার্থনা করে আবেদনপত্র দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালত তা গ্রহণ না করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এটা খুবই দুঃখজনক। এ মামলায় চার্জ গঠনের বৈধতা নিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে বলেও জানান শিমুল বিশ্বাসের আইনজীবী।