গোলাপগঞ্জে অভিনব কায়দায় ইমামের মোটরসাইকেল চুরি

পুলিশের রাতভর অভিযানে আটক ২

স্টাফ রিপোর্টার : গোলাপগঞ্জে কবিরাজির কথা বলে মাহিন আহমদ নামের এক ইমামকে ডেকে এনে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের কানিশাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাতভর অভিযান চালিয়ে ১২ ঘণ্টার মধ্যে এ চক্রের দু’জনকে আটক ও চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের কানিশাইল গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে জামিল আহমদ (২৩) ও একই এলাকার উমর আলীর ছেলে ফাহিম আহমদ (২২)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মাহিন আহমদ পনাইরচক জামে মসজিদের সাবেক ইমাম ছিলেন। তার বাড়ি বড়লেখা উপজেলার মাইজগ্রামে। ওই ইমামকে চাচাতো বোনের অসুস্থতার কথা বলে কবিরাজি চিকিৎসা করানোর জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ বাজারে আসার জন্য অনুরোধ করে চোরচক্রের সদস্য আরিফ মিয়া (২৪)। ইমাম মাহিন আহমদ তার কথা মত নিজ মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ বাজারে এলে সেখানে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চোরচক্রের সদস্য জামিল আহমদ ইমামকে তার

বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর ইমাম আরও ৪-৫ জনকে দেখতে পান।
পুলিশ জানায়, এ সময় চোরচক্রের সদস্যরা বিভিন্ন জিনিসপত্র আনার কথা বলে সময় নষ্ট করতে থাকে এবং বিভিন্ন কথা বলে ইমামকে ব্যস্ত রাখে। এক পর্যায়ে আরিফ রোগী দেখার জন্য ইমামকে পাশের রুমে যেতে বলে। তখন ইমাম তার মোটরসাইকেলের চাবি, ব্যাগ ও মোবাইল টেবিলের উপর রেখে পাশের রুমে গিয়ে কাউকে দেখতে না পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। এরপর দেখেন তার রাখা ব্যাগের চেইন খোলা এবং তার মোটরসাইকেলের চাবিসহ মোবাইল ফোনটি নেই। এসময় ইমাম তার জিনিসপত্রের কথা জিজ্ঞেস করলে আরিফ, ফাহিম ও জামিল কোনো সদুত্তর না দিয়ে ইমামকে হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সেখান থেকে বিদায় করে দেয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইমাম গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ প্রেক্ষিতে গত বুধবার ঢাকা দক্ষিণে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক পার্থ সারথী দাস ও সহকারী উপপরিদর্শক আবু তাহের অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের দুই সদস্যকে আটক করেন। সেই সাথে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি জৈন্তাপুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এই চক্রের সাথে জড়িত বাকী আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।